Last Updated on February 4, 2022 9:05 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group)আর বনভোজনের মাধ্যমে বাংলার ভাজপা (BJP WestBengal) শিবিরের যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল সেই বিদ্রোহে জেরবার ভাজপা নেতৃত্ব একটু দম ফেলার আগেই কার্যত গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হচ্ছে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপদের। গত পরশুদিন নেতাজি ইন্ডোরে (Netaji Indoor Stadium) তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে মমতা (Mamata Banerjee) প্রথমবারের জন্য প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, ভাজপা (BJP) বিধায়করা তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। শুধু আবেদন জানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও কোন সমস্যা ছিল না, কিন্তু এই সমস্ত ভাজপা বিধায়কদের তৃণমূলের স্বাগত জানান মমতা। মমতা বলেন, বাংলায় আরও বাড়তে হবে। ৭-৮ জন বিজেপি বিধায়ক আসতে চায়। তাঁরা আসুক। জোর করে নেব না।
মমতার এই ঘোষণা কার্যত বাংলার ভাজপা নেতাদের শিরদাঁড়ায় হিমেল স্রোত বইয়ে দিয়েছে। চলতি মাসেই রাজ্যের ১১২ মিউনিসিপালিটি এলাকায় ভোট গ্রহণ হবে। তার আগেই যদি ভাজপা বিধায়ক এর সংখ্যা কমতে থাকে তাহলে রাজ্যজুড়ে ভঙ্গুর সংগঠন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। এমনিতেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পরে মুকুল রায় তৃণমূল ফিরে যাওয়ার পরেই মুকুল সহ মোট ৫ ভাজপা বিধায়ক চলে গিয়েছেন তৃণমূলে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বাংলায় বিরোধী দলের মর্যাদা হারিয়ে ফেলবে ভাজপা। সেই সঙ্গে যে বিরোধী দলনেতা পদের জন্য শুভেন্দু অধিকারী বাংলার ভাজপা নেতাদের ওপর ছড়ি ঘোরাতেই শুরু করেছেন সেই বিরোধী দলনেতা পদ চলে যাওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।ইতিমধ্যেই দলের সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে অমিত মাল আইটি সেল এর কর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে সন্দেহভাজন ভাজপা বিধায়কদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই ভাজপা বিধায়করা কার সঙ্গে কথা বলছেন অথবা কার সঙ্গে দেখা করছেন তার প্রতিটি বিষয়ে দেখার জন্য রীতিমতো মনিটরিং সেল বানানো হয়েছে।
তার উপরে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে খড়্গপুরের ভাজপা বিধায়ক হিরনের নিত্যনৈমিত্তিক ঝামেলার মধ্যে হিরন বিদ্রোহী হয়ে তৃণমূলের দিকে যেতে পারেন আশঙ্কা করে আজ হঠাৎ করেই খড়গপুর পৌর নির্বাচনের আগে হিরনের কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ গোষ্ঠীকে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ভাঙ্গনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ভাজপা রাজ্য নেতৃত্ব।তাই আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনের সময় জেলার বিধায়করা কলকাতায় এলে তাদের প্রতিটি গতিবিধি উপরে নজর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।