Last Updated on August 8, 2021 12:53 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। সংসদের চলতি অধিবেশনে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল পেশ করতে পারে মোদি সরকার। এই সম্ভাবনার কথা সামনে আসতেই ফের এই সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলে রাজ্যের অধিকারকে নস্যাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, জনগণের স্বার্থ বিরোধী বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল। বিদ্যুৎ সংবিধানের যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত, এই বিল কার্যকরী হলে রাজ্যের অধিকার খর্ব হবে। বিল সংসদে পেশ করার আগে রাজ্য গুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনায় বসা উচিত। বিদ্যুৎ যেখানে সংবিধানের যৌথ তালিকাভুক্ত, সেখানে কেন্দ্রের এই ধরনের একতরফা পদক্ষেপ প্রবল স্বৈরাচারী ও রাজ্য সরকারের অধিকারের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, গতবছর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল সামনে আসার পর থেকেই এর বিরোধিতায় সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। এদিন চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, গত বছর এই বিল পেশ না হওয়ায় ভেবেছিলাম রাজ্যের আপত্তির কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় সংশোধন করার পর আনা হয়েছে বিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল এমন কিছুই হয়নি। উল্লেখ্য, পাওয়ার সেক্টরে বড়োসড়ো পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল আনতে চাইছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২০, আইনে পরিণত হলে সাধারণ মধ্যবিত্ত ও কৃষকের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ মাশুল এখনকার তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, শিল্প ও বাণিজ্যিক কনজিউমার বিদ্যুৎ এর খরচ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নতুন আইনের প্রণয়নের ফলে। সূত্রের খবর, বিল আইনে পরিণত হলে প্রত্যেক গ্রাহককে আগে বাজার দরে কিনতে হবে বিদ্যুৎ, যাদের ভর্তুকি পাওয়ার কথা তাদের টাকা ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি আসবে। অর্থাৎ কারা ভর্তুকি পাবেন তা নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিল সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিরোধী, এই অভিযোগ তুলে বিল নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়ে গতবছর জুন মাসের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও রাজ্যের আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়ে একতরফাভাবে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল পাস করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।