Last Updated on May 25, 2021 9:31 PM by Khabar365Din

খবর ৩৬৫ দিন টিম
৩৬৫দিন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সূত্রের খবর, সোমবার রাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ওঠানামা করতে থাকে। আজ সকালে দেখা যায় তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে গিয়েছে ৮০-৮২ তে। তারপরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেয়নি চিকিত্সকরা। সকাল সাড়ে ১১ টার পরই অ্যাম্বুলেন্স আসে বালিগঞ্জের পাম্প এভিনিউয়ের বাসভবনে । দুপুর ১২ টা নাগাদ দেখা যায় ধরাধরি করে সাদা চাদরের উপরে শুয়ে দিয়েই তাকে অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারে তোলা হয়। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় তার কোনো জ্ঞান ছিল না। মুখে অক্সিজেনের নল ঢুকিয়েই বাড়ি থেকে দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী তত্ত্বাবধানেই উডল্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। আপাতত এই হাসপাতালের একটি সিঙ্গেল রুমকে আইটিইউতে বদল করা হয়েছে। যাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আইসোলেশনে রেখে সব ধরনের চিকিৎসা ফেসিলিটি দেওয়া যায়। প্রয়োজনে এই সিঙ্গেল রুমে ভেন্টিলেটরেরও সুবিধা দেওয়া যায়। উডল্যান্ড হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশকিছু রক্ত পরীক্ষাও রয়েছে। প্রয়োজনে বাইপ্যাপ অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার কথাও ভাবছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, এমনিতেই সিওপিটির রোগী বুদ্ধদেববাবু। তার ওপর করোনার সংক্রমণ। কোভিড সমস্যার কারনেই আরো শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে তার। আপাতত যত দ্রুত সম্ভব অক্সিজেন সাপোর্ট ও মেডিসিন এর মাধ্যমে তাকে স্থিতিশীল করাটাই চিকিৎসকদের প্রাথমিক লক্ষ্য।অক্সিজেন লেভেল নেমে যাওয়ায় বাড়িতে রেখে চিকিৎসা চালালে পরবর্তীতে নতুন করে আরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারত। তাই হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত এতদিন আগেই সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হন বুদ্ধদেব বাবু। স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। বুদ্ধদেববাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিলেন।সেইসময় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি।এদিকে সোমবারই তার স্ত্রী হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরেন। আপাতত মিরা ভটচাজ বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেববাবু। যদিও কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পর খানিকটা স্থিতিশীল হয় বাড়ি ফিরে যান তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এর মধ্যেই কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন বুদ্ধবাবু ও তার স্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগী তপনবাবু প্রথমে করোনা পজিটিভ হন।এরপরই সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।