Last Updated on December 2, 2020 10:58 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। রাজনৈতিক প্রতিবেদন। নয়াদিল্লি

চিন, রামকৃষ্ণ মিশন অথবা অক্সফোর্ড ইউনিয়ন ডিবেটিং সসাসাইটি-তিনটেই বিশ্বের তিনটি স্তম্ভ। এদের প্রতিটি কাজকর্ম চূড়ান্ত পেশাদার, এরা টজলদি কোনও সিদ্ধান্ত যেমন নেন না, তেমনই হঠাৎ সিদ্ধান্ত পাল্টেও ফেলেন না । ব্যতিক্রম একটাই। যদি আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও কূটনৈতিক চাপ আসে তবেই। পরপর তিনটি অদ্ভুত ঘটনা এই প্রতিবেদনের শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে কেন্দ্রীয় সরকারের নানারকম ডিপ্লোম্যাটিক ছাড়পত্র লাগে। প্রােগ্রাম সামান্য এদিক ওদিক করে দিলেই অনুমােদন বাতিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিন সফরের ৬ ঘন্টা আগে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারলেন, তিনি চিনে গিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির কোনও নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারছেন না, তেমন কোনও প্রােগ্রামই দেওয়া হয়নি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। রামকৃষ্ণ মিশনের ক্ষেত্রে ঘটনা আরও গুরুতর। যে বক্তৃতা মমতা দিতে পারলেন না, বাতিল করা হল, সেই বক্তৃতাই পরবর্তীকালে দিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। আশ্চর্য সমাপতন। মমতাকে কিছুতেই বিশ্বের দরবারে পৌঁছতে দেওয়া হবে না। মমতাকে আটকাতে বারবার, একেবারে শেষমুহূর্তে স্পষ্টই কূটনৈতিক স্তর থেকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। ঠিক যেভাবে ১৫দিন আগে এদেশে মহান কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্তে টাটা লিটারারি ফেস্টিভ্যালে অনলাইন বক্তৃতা দেওয়া থেকে আটকে দেওয়া হল বিশ্ববিখ্যাত বামপন্থী দার্শনিক নােয়াম চমস্কিকে। চমস্কি মােদিকে দাঙ্গাবাজ মনে করেন। তাকে কখনও এদেশে বক্তৃতা দিতে দেওয়া যায়? অক্সফোর্ডের বিতর্ক সভায় মাদার টেরেসা, বিল ক্লিন্টন, স্টিফেন হকিং, দলাই লামা, রােনাল্ড রেগন, সলমন রুশদি, উইনস্টন চার্চিল, মাইকেল জ্যাকসন যে বক্তৃতা দিয়েছেন, সেখানে মমতাকে নারীশক্তি ও দেশের উন্নয়ন নিয়ে বলতে দেওয়া যায় কখনও? কে ও কারা কলকাঠি নেড়েছেন তা দিনের আলাের মতােই পরিষ্কার।