Last Updated on October 22, 2020 2:19 PM by Khabar365Din


মাের্চা বিজেপির সঙ্গ ছাড়ল
পাহাড় চায় ২০২১’এ মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতাই’
৩৬৫ দিন। নরেন্দ্র মােদি-অমিত শাহ পাহাড়বাসীর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। মমতা বন্দোপাধ্যায় যাকে যা কথা দিয়েছেন, কথা রেখেছেন। ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনে মমতাকেই আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। পুরােপুরি ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদল করে সরাসরি কথা জানিয়ে দিলেন মাের্চা নেতা বিমল গুরুং। পাশাপাশি এনডি জোট থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে মাের্চা – বুধবার কলকাতার ক বেসরকারি হােটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন বিমল গুরুং। বুধবার বিকেল ৫ টার সময় অজ্ঞাতবাস থেকে প্রকাশ্যে এসে সল্টলেকের গােখা ভবনের সামনে আসেন বিমল গুরুং ও রােশন গিরি। একটি গাড়িতে ছিলেন বিমল গুরুং , অপর একটি গাড়িতে ছিলেন রােশন গিরি। গােখা ভবনের সামনে এলেও ভবনের গেট খােলা হয়নি। গােখা ভবনের ভেতরে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর খানিকক্ষণ পরেই কলকাতার এক বেসরকারি হােটেলে চলে আসেন বিমল। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে রােশন গিরিকে পাশে নিয়ে বিমল গুরুং জানিয়ে দেন, নরেন্দ্র মােদি, অমিত শাহদের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতি রাখেননি তারা, ৬ বছর হয়ে গেল। পাহাড়বাসীর প্রতি ওরা বঞ্চনা করেছে। তাই এবার তৃণমূলের সঙ্গে মিলে ওদের জবাব দেব। ২০২১- তৃণমূলকে সমর্থন করব আমরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কথা দিয়েছিলেন, তাই রেখেছেন। কিন্তু মােদিরা তা করেননি। বাংলার শাসন দেখলাম, কেন্দ্রের শাসনও দেখলাম। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনও কথাই রাখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু যতটুকু বলেছেন, করেছেন। প্রসঙ্গত, গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা। তিনি ফেরার তিন বছর ধরে। বহুদিন ধরে দার্জিলিঙে ফেরা হয়নি তার। তবে, ইউএপিএ ধারায় যার বিরুদ্ধে মামলা, তিনি এভাবে প্রকাশ্যে এলেন কেন? প্রশ্নের উত্তরে এদিন বিমল গুরুং জানিয়ে দেন, আমি দেশদ্রোহী নই। এটা পলিটিক্যাল ব্যাপার। তাই পলিটিক্যালি মেটাতে চাইছি।এদিন বিকেলে হঠাই গাড়ি করে সল্টলেকের গােখা ভবনে আসেন বিমল গুরুং। তার সঙ্গে গেরুয়া বসন পরিহিত এক ব্যক্তি ছিলেন গাড়িতে। বলা হচ্ছিল, গােখা ভবনেই সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বিমল গুরুং। নিজের মুখে বলেনও, যা বলার ভিতরে বলব। এখন কিছু নয়। কিন্তু গােখা ভবনের দরজা বন্ধই ছিল। এরপরই সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় শহরের এক হােটেলে প্রেস কনফারেন্স করে বােমা ফাটালেন তিনি। এদিন বিমল গুরুং জানিয়ে দেন, ২০২৪ সালের লােকসভা ভােটে যারা গাের্খাল্যান্ড ইস্য সমর্থন করবে, তাদের সমর্থন করবেন বিমল গুরুং। গুরুং জানান, গাের্খাল্যান্ডের ইস্য থেকে সরছি না। গাের্খাল্যান্ডের ইস্যর পাশে যারা আছেন তাদের সঙ্গে আছি।



সব খবরের একই হাল। তবু নির্দিষ্ট করে গুরুং নিয়ে খবর প্রসঙ্গে জানাই, ওইটুকু খবরের মধ্যে অন্ততঃ 15 টা বানান ভুল। ইস্যু হয়েছে ইস্য। গোর্খা হয়েছে গোখা, হঠাৎই হয়েছে হঠাই।