Last Updated on December 25, 2021 12:21 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন গতকাল জানিয়ে দিয়েছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজ্যের ১০৬ পুরসভার ভোট গ্রহণ হবে। তারপরেই আজ পাহাড়ের রাজনীতিতে অ্যাডভান্টেজ পেল তৃণমূল। তৃণমূলের প্রতি আগেই নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং। এবারে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা জিটিএর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনয় তামাং এবং কার্শিয়াং এর প্রাক্তন বিধায়ক রোহিত শর্মা। এর ফলে পাহাড়ে গত কয়েক বছর ধরে মোর্চার সমর্থন পেয়ে যেভাবে ভাজপা একের পর এক নির্বাচনে জয় পেয়েছিল, তারপর কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। জিটি এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনয় তামাং আজ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি এবং তার শরিকরা। মীরজাফরের মত কাজ করেছে। বারবার তারা আমাদের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের ললিপপ দেখিয়েছে। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দরকার নেই।
দরকার পাহাড়ের প্রকৃত উন্নয়নের। বিজেপি ইমোশনালি আমাদের ব্ল্যাকমেল করছে। তিনবার পাহাড় থেকে সাংসদ নিয়ে গিয়েছে কিন্তু কোনও উন্নতি করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের উন্নতির চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, অনেকদিন আগেই মোর্চা ছেড়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ দেখেই তৃণমূলে যোগ দিতে চাই। আমি একটি আঞ্চলিক দলে ছিলাম। সেখান থেকে জাতীয় দলে যোগ দিলাম। ২০২৪-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। আজ বাংলার শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন দুজনে। তিনি বলেন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেই একমাত্র পাহাড়ের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করতে অভ্যস্ত বিজেপি। তার ফলে তারা পাহাড়-সমতলে বিভাজন ঘটাতে চায়। সম্প্রদায়, ধর্ম এমনকী নারী ও পুরুষের মধ্যে বিভাজন করতে চায় বিজেপি। পাহাড়ের মধ্যে একটা কাল্পনিক বিভাজন তৈরি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক স্বার্থে বাইরে থেকে ইন্ধন-উস্কানির ফলে এই বিভাজন ঘটেছিল। কিন্তু পাহাড়ের মানুষ অশান্তি চান না। তাঁরা এখন বুঝতে পেরেছেন তাঁদের প্রকৃত অভিভাবক যদি কেউ থেকে থাকে তাহলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।