পুরভোটে সিপিএমের সঙ্গে দ্বিতীয় হওয়ার লড়াইয়ে ভাজপা, ভাজপার চাপ বাড়িয়ে বৈঠকে গরহাজির ২ পর্যবেক্ষক

0

Last Updated on November 27, 2021 11:35 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। দুই নম্বর কী ধরে রাখা যাবে নাকি শেষ করতে হবে তিন নম্বরে ? প্রধান বিরোধী থাকা যাবে নাকি সেই জায়গা দখল করে নেবে বামেরা আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে সিপিএম ? কলকাতা পুরভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই এখন এই প্রশ্নই জোরালোভাবে পাক খাচ্ছে মুরলীধর সেন লেনের অলিন্দে। এমনিতে কলকাতা পুরভোটে ভাজপা অভাবনীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে হারিয়ে এক নম্বর স্থান দখল করবে এমনটা বিশ্বাস করেন না অতি বড় ভাজপা সমর্থকও নেতারা তো করেনই না। এখন যে দুটি আশঙ্কা ভাজপা নেতারা করছেন বিশেষ করে প্রথমে বিধানসভা নির্বাচন এবং তারপরে দু’দফার উপনির্বাচনে যেভাবে তাদের পর্যুদস্ত হতে হয়েছে এবং রেকর্ড ভাবে ভোট কমেছে তাতে কলকাতা পুরভোটে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখা যাবে কিনা যদি ধরে রাখা না যায় তাহলে অবধারিতভাবে সেই স্থান দখল করতে চলেছে সিপিএম। ফলে ভাজপা নামতে চলেছে তিন নম্বরে।অনেক ভাজপা নেতা আবার এমনও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গতি প্রকৃতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে না একেবারে শূন্য হাতে ফিরতে হয় কলকাতা পুরভোটে। এদিকে, শনিবার ভাজপার হেস্টিংস অফিসে কলকাতা পুরভোটের বৈঠকে গড়হাজির ছিলেন পুরভোটের ২ পর্যবেক্ষক অর্জুন সিং ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় দিনের বৈঠকে বড় স্তরের একাধিক নেতা অনুপস্থিত ছিল যার জেরে দলের অভ্যন্তরে রীতিমতো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য ভাজপা নেতাদের। ২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে মোট ৭ টি আসন দখল করলেও প্রধান বিরোধী দল ছিল সিপিএম।

২০১৫’র কলকাতা পুরসভার যার মধ্যে ছিল ৭, ২২, ২৩ ও ৪২ ,৭০, ৮৬ ও ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড। ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী কাউন্সিলর বাপি ঘোষ ভাজপা ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ভাজপার কাউন্সিলর অসীম বসুও তৃণমূলে নাম লেখান। এদিকে, কিছুদিন আগেই ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিস্তা দাস বিশ্বাস পথদুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।এছাড়া ভাজপার নিজের ওয়ার্ড বলতে গেলে ২২ নম্বর ওয়ার্ড যার বিদায়ী কাউন্সিলর হচ্ছেন মীনাদেবী পুরোহিত, ২৩ নম্বরে বিজয় ওঝা ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে সুনীতা ঝাওয়ার।কিন্ত ভাজপার জেতা ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডটি এবার মহিলা সংরক্ষিত। তাই সেখানে গতবারের জেতা সুব্রত ঘোষকেও প্রার্থী করতে পারবে না দল।কোনো মহিলাকে দিতে হবে। ফলে এই ওয়ার্ড ভাজপা ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাই আপাতত ২২,২৩ ও ৪২ ওয়ার্ড এর উপরই শুধুমাত্র বাজি ধরে এগোতে হচ্ছে মুরলীধর সেন লেনে নেতাদের।গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে কলকাতার অন্তর্গত ওয়ার্ডগুলির ভোটে দ্বিতীয় স্থান দখল করা উচিত ভাজপার। কিন্তু শহরে ভাজপার সংগঠন বলতে কিছুই নেই। গত নির্বাচনে তা আরো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভাজপার এক শীর্ষ নেতার কথায়, পুরভোটে আমাদের লড়াই এখন তৃণমূলের সঙ্গে নয়, লড়াইটা সিপিএমের সঙ্গে। দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখার লড়াই। আগেরবারের আসনগুলো কিভাবে ধরে রাখা যায় তানিয়েই দলকে চিন্তাভাবনা করতে হছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here