Last Updated on November 6, 2020 8:17 PM by Khabar365Din

রাজনৈতিক প্রতিবেদন : বিজেপির রাজ্য নেতারা অনেকেই প্রকাশ্যে বলেছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনেকেই লােকসভা ভােটের আগে গােপন বৈঠক করে গেছেন। এবার দলের কমান্ডার ইন চিফ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং বাংলার ভােটের স্ট্র্যাটেজিক সফরে এসে কর্মিসভায় সরাসরি বললেন, লােকসভায় সিপিএমের অনেক নেতাই তৃণমূলকে উৎখ তি করার জন্য আমাদের সাহায্য করেছেন, মদত দিয়েছেন। সিপিএমের এই ‘বন্ধু’ নেতাদের সঙ্গে আমাদের যােগাযােগ আরও বাড়াতে হবে। যারা সরাসরি দলে না। এসেও সম্পর্ক রাখতে চান তাদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। এই বিষয়টিতে রাজ্য নেতৃত্বকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু অমিত শাহ’র এই বক্তব্যই নয়, রাজ্যে সিপিএম এবং সহযােগী বাম দলেরা লােকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপিকে আদৌ সাহায্য করেছে কিনা, করে থাকলে কতটা সাহায্য, সে বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বের। কাছ থেকে একটি রিপোের্ট চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ সেই রিপোের্ট শাহ’র হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তাতে ওই রিপাের্টে ৩৫-৩৭ জন ‘বন্ধু’ মনােভাবাপন্ন সিপিএম নেতার নাম আছে। এর মধ্যে আছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর ৩ সদস্য, পার্টির রাজ্য কমিটি ও উত্তরবঙ্গ জেলা সম্পাদকমন্ডলীর এক ডাকসাইটে নেতা, পার্টির সম্পাদকমন্ডলীতে বিশেষ আমন্ত্রিত ২ সদস্য, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটির ও সম্পাদকমন্ডলীর ৪ সদস্য এছাড়া নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যসহ প্রায় প্রতিটি জেলা কমিটিরই কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওই নােটে বলা হয়েছে সিপিএমের এই সহযােগিতায় সিপিএমের। ভােট ব্যাঙ্কের প্রায় ২৩ শতাংশ বিজেপিতে সুইং করেছে। প্রসঙ্গত মনে রাখতে হবে, নদিয়ায় রমা বিশ্বাস সহ বিভিন্ন জেলায় সিপিএম নেতৃত্বের যারা প্রকাশ্যে পোেস্টার ও ওয়ালিং করে বিজেপি সিপিএম গােপন জোট ঘােষণা করেছিলেন তাদের কাউকে পার্টি থেকে তিরস্কার করা হয়নি বরং পুরস্কৃত করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, শিলিগুড়ির একটি বুথে সিপিএম একটি ভােটও পায়নি, এমনকি দলের পােলিং এজেন্টের ভােটও বিজেপি পেয়েছে। এছাড়া প্রকাশ্যে দলের কর্মিসভায় নিজেদের শক্তি কম থাকলে ১ নম্বর শত্রু তৃণমূলকে হারাবার জন্য প্রয়ােজনে বিজেপিকে ভােট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য, অশােক ভট্টাচার্য, শমীক লাহিড়ী, কান্তি গাঙ্গুলী, দীপক সরকার সহ খােদ সম্পাদকমন্ডলীর অনেকে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, একুশের বিধানসভা ভােটে সিপিএম স্টেকহােল্ডার হলেও স্বয়ং অমিত শাহ পর্যন্ত বামরাম গােপন জোটকে শক্তিশালী করার ডাক দিয়ে গেলেন। কেননা বামেদের ভােট সরে গেলে বিজেপির লােকসভায় জেতা সিট গুলাে। একেবারে নড়বড়ে হয়ে যাবে।