Last Updated on January 6, 2022 12:11 AM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। ভাজপায় একের পর এক নেতা বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পর এবার বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দিল্লিতে দরবার বিক্ষুব্ধ নেতাদের।বুধবার সকালেই ভাজপা বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সন্ধ্যার পরই রাজ্য ভাজপার বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে ক্যালকাটা ক্লাবে গোপন বৈঠকে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি, ভাজপার নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েতেই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন দলের পুরনো দিনের নেতারা। বিক্ষুব্ধদের সেই তালিকায় রয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের ৫ বিধায়ক ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সহ রাজ্যের বেশ কয়েকজন ভাজপা বিধায়করাও। নতুন রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজু বন্দোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীরন সাহার মতো নেতাদের। যার জেরে এখন মুরলীধর সেন লেনে বিক্ষুব্ধদের তালিকাও ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
যদিও মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই সল্টলেকে এক নেতার বাড়িতে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমীরন সাহা গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। ওই বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন বনগাঁর বিক্ষুব্ধ সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। মঙ্গলবারের পর বুধবারও বৈঠকে বসেন বিদ্রোহী নেতারা। ক্যালকাটা ক্লাবের বৈঠকে হাজির হন হিরণ।সূত্রের খবর, ভাজপার সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য নির্দেশেই পুরনো ভাজপা নেতাদের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ বিধায়ক ও সংসদদের দলীয় কোনো দায়িত্বই দেওয়া হয়নি। মোট ৮ জন লোকসভার সাংসদ, ৩০ জন বিধায়ক সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তীকে সরানোর দাবি তুলেছেন। ইতিমধ্যেই অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদির কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক সমিরন সাহা বলেন, ‘ ২৭ বছর ধরে পিছনের সারিতে থেকে বিজেপি করছি। এত লড়াইয়ের পর আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় রাজ্যে বিরোধী দলের আসনে বসেছে বিজেপি। এতদিন পর আমরা বিক্ষুব্ধ হয়েছি নিশ্চয়ই তার কারণ আছে। এ ভাবে কোন দল চলতে পারে না।