Last Updated on November 2, 2021 10:32 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। অতি দর্পে হত লঙ্কা! একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে এখনো ৬ মাস কাটেনি। তার মধ্যেই নিজেদের যেটা ২ আসন তৃণমূলের কাছে হেরে যাওয়ার পাশাপাশি চার বিধানসভা কেন্দ্র উপ নির্বাচনের ফলাফলে ৩ কেন্দ্রে জামানত জব্দ হলো ভাজপা প্রার্থীদের। দিনহাটা, গোসাবা এবং খড়দহে জামানত খোয়ালেন ভাজপা প্রার্থীরা। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ অনুযায়ী, যদি কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে মোট যত বৈধ ভোট পড়েছে, তার ১/৬ অংশের কম ভোট পান, তা হলেই তাঁর জামানত হিসেবে জমা করা টাকা বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন।
কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৫৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন ভাজপা প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক। সেই সময় দিনহাটা বিধানসভায় ভাজপা পেয়েছিল ৪৭.৬ শতাংশ ভোট। অথচ মাত্র ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে ভাজপা ঝুলিতে পড়েছে মাত্র ১১.৩ শতাংশ ভোট। মূলত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় অন্যান্য এলাকার তুলনায় উত্তরবঙ্গে ভাজপা অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করার পরে যেভাবে বাংলা ভেঙে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি তুলতে শুরু করেছিল তার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন দিনহাটার মানুষ। ৩৬.৩ শতাংশ ভোটার ভাজপাকে ত্যাগ করেছে মাত্র ছয় মাসেই। অথচ কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর তাগিদে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিককে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পর্যন্ত করা হয়েছে।
দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৮৪.১৫ শতাংশ। যেখানে ভাজপা প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ১১.৩১ শতাংশ। গোসাবাতে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মন্ডল যেখানে পেয়েছেন ৮৭.১৯ শতাংশ ভোট, সেখানে ভাজপা প্রার্থী পলাশ রানা পেয়েছেন মাত্র ৯.৯৫ শতাংশ ভোট।
খড়দহ বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ৭৩.৫৯ শতাংশ ভোট। ভাজপা প্রার্থী জয় সাহার ভাগ্যে জুটেছে মাত্র ১৩.০৭ শতাংশ ভোট।
শান্তিপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী পেয়েছেন ৫৪.৮৯ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থানে ঢাকা ভাজপা প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস পেয়েছেন মাত্র ২৩.২২ শতাংশ ভোট।
৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রেক্ষিতে তৃণমূল পেয়েছে ৭৫ শতাংশ ভোট। ভাজপা পেয়েছে ১৪.৫ শতাংশ ও। সিপিএমের ঝুলিতে গিয়েছে ৭.৩ শতাংশ। নদীতে জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ অদৃশ্য হতে চলা কংগ্রেসের ঝুলিতে ভোট পড়েছে মাত্র ০.৪ শতাংশ। যেখানে নোটা বেছে নিয়েছেন ১.১ শতাংশ ভোটার।