Last Updated on July 26, 2022 6:42 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। আহমেদাবাদ। ভাজপার ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রোল মডেল গুজরাট। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের নিজের রাজ্য গুজরাটে মদ বিক্রি এবং মদ্যপান কড়া আইন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করেছে গুজরাতের ভাজপা সরকার। অথচ সেই ড্রাই স্টেট গুজরাতের বোতাদ-বারওয়ালায় দেশি মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট 30 জনের মৃত্যু হয়েছে। বারওয়ালা তালুক থেকে ১৫ জন এবং ধাদুকা তালুকে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বোটাদ জেলার পুলিশ বারওয়ালা তালুক গ্রামে এই বিষমদ খাওয়া মানুষদের অনুসন্ধান এবং চিকিৎসা শুরু করেছে। বোটাদের এই বিষমদ কান্ডের তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে এই মামলার তদন্ত করছে এই দল। গুজরাটের ধুন্দুকা-বারওয়ালায় বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যুর অভিযোগে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে এবং ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। রাসায়নিক সরবরাহকারী টেম্পোটি পুলিস আটক করেছে বলেও জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচের মত গুজরাতে একদিকে যেমন সমস্ত বিলাসবহুল হোটেলে সরকারি আধিকারিক এবং শাসকদলের প্রভাবশালী নেতাদের প্রত্যক্ষ মদতে রমরমে ব্ল্যাক মার্কেটে মদের ব্যবসা চলছে, ঠিক তেমনভাবে গুজরাতের শাসক দল ভাজপার মদতে গুজরাতের প্রত্যেকটি প্রত্যন্ত এলাকায় বেআইনি চোলাই মদের কারবার চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে সাধারণ মানুষ। যদিও ভাজপা শাসিত গুজরাটে মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মদ বিক্রি, বিতরণ অথবা সেবনের ক্ষেত্রে কঠোর পুলিসি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে।
তবে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুজরাটে বিষাক্ত মদের ট্র্যাজেডিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে এই কেলেঙ্কারির পিছনে ভাজপা নেতাদের প্রত্যক্ষ মদতের অভিযোগ তুলেছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগ, গুজরাটে নিষেধাজ্ঞা আছে কিন্তু গুজরাটে প্রচুর অবৈধ মদ পাওয়া যায়। কারা এই অবৈধ ও নকল মদ বিক্রি করে? যারা বিক্রি করে তারা সরকারি সুরক্ষা পায়। টাকা কোথায় যায়? গুজরাটের বিষমদের ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। গুজরাটে সমস্ত বেআইনি মদের ব্যবসার টাকা যায় ভাজপার রাজনৈতিক তহবিলে এবং ভাজপা নেতাদের পকেটে।
চিকিৎসাধীন এক রোগী স্ত্রী জানান, রবিবার রাতে রোজিদ গ্রামে মদ খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তার স্বামীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একই সময়ে, অন্য একজন দাবি করেছেন যে রবিবার রাতে একজন চোরাকারবারির কাছ থেকে কেনা মদ খেয়ে কমপক্ষে ১৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই বোটাদ সিভিল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ভাবনগর রেঞ্জের আইজি অশোক কুমার যাদব। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্তে ডিএসপি পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হবে।