Last Updated on September 8, 2021 11:11 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ফের মুখ পুড়লো উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়ে তিন পড়ুয়াকে ৯ মাস সাসপেন্ড করার পর ডিসিপ্লিন কমিটির সুপারিশে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ওই তিন পড়ুয়া সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান ও রূপা চক্রবর্তীকেকে বহিষ্কার করে। উপাচার্যকে ঘেরাও রাখা হয়েছে অভিযোগ তুলে উপাচার্যর আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। আজ, বুধবার হাইকোর্ট এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নিজের পর্যবেক্ষণে জানান- বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রের তিন বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকেই বহিস্কৃত পড়ুয়াদের ক্লাসের যোগদান করার নির্দেশ দেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সমস্ত রকম অবস্থান-বিক্ষোভ প্রত্যাহার করতে হবে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণ তিন জন ছাত্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে এবং তার ভিত্তিতে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা একেবারেই উপযুক্ত নয়। তাদের লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে।তিন ছাত্র এবং বাকি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া অধ্যাপকদের মামলা দায়ের করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে তা নিষ্পত্তির আশ্বাস। এরপর বিচারপতি মান্থা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কে ভৎসনা করে বলেন যদি নিজেকে আইনের থেকে বড় ভাবেন তাহলে তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবে আদালত। ছাত্রদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখুন। ওদের পড়তে দিন মন্তব্য বিচারপতির।
কলকাতা হাইকোর্টের রায় স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। হাইকোর্টের রায় শোনার পর অবস্থান মঞ্চে চারদিন ধরে চলা অনশন ভঙ্গ করেন বহিস্কৃত পড়ুয়া রুপা চক্রবর্তী ও সাসপেন্ডেড অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। এরপর প্রতিবাদীরা উপাচার্য দুর হটো স্লোগান তুলে তার বাসভবনের সামনে উপস্থিত হন। ও একটি মিষ্টির হাঁড়ি উপাচার্যকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সমবেত হন। যদিও উপাচার্যের তরফে মিষ্টি গ্রহণ করা হয় নি। এরপর আন্দোলনকারীরা নিজেরাই মিষ্টি মুখে মাতেন। আদালতের রায় উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মিষ্টি খাওয়ার পর অকাল হোলিতে মাতেন। হলুদ নীল আবির মেখে উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রাথমিক জয় উদযাপন করেন। প্রতিবাদীদের পক্ষে সোমনাথ সৌ ও রূপা চক্রবর্তী বলেন হাইকোর্টের বিচারে আমাদের আস্থা ছিল। উপযুক্ত বিচার পেয়েছি। তবে আইনজীবিদের পরামর্শে স্বৈরাচারী উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন যেমন ছিল তেমন চলবে। এই উপাচার্য রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বিশ্বভারতীতে উপযুক্ত নন, তাই এবার তাঁর পদত্যাগ চেয়ে পরবর্তীকালে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশে উপাচার্যের মুখ পড়ার পর কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন লেখা সময় পর্যন্ত এখনো কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। দেয়নি কোন প্রতিক্রিয়াও। তবে হাইকোর্টের রায়ে খুশি হওয়া শান্তিনিকেতনে। খুশির হাওয়া আশ্রমিকদের মধ্যেও।