Last Updated on May 11, 2021 12:33 AM by Khabar365Din



৩৬৫ দিন। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভাজপা। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল জানানো হয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যাতে অবসরপ্রাপ্ত ডিজি পদমর্যাদার কোন আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই আবেদনই এ দিন খারিজ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। একই সঙ্গে হাইকোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব এখন রাজ্য সরকারের। পাঁচ বিচারপতির পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল পর্যবেক্ষণে জানান, আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব এখন রাজ্য সরকারের। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে হিংসা বন্ধের জন্য রাজ্য যে ভূমিকা নিয়েছে তার অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সবাইকে একসাথে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। কার দোষ সেটা পরে দেখা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার যাবতীয় ঘটনা থেকে নিজেদের দায় এড়াতে পারে না। আদালতে এ দিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৯ মে-র পর এ রাজ্যে আর কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। যা হয়েছে তা এর আগেই হয়েছে। যদিও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয় জানালেও তা মানতে রাজি নন বাংলায় ভাজপা প্রতিনিধি পদ্মপাল। রাজভবনে আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরেই ভাজপা নেতাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার পরে নজিরবিহীনভাবে পদ্মপাল জানান, রাজ্য সরকার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আমি নিজে যাব হিংসার শিকার বিরোধীদলের কর্মীদের বাড়িতে। পদ্মপালের এই বক্তব্য কার্যত হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের অবমাননা করা। ভাজপা নেতাদের পরামর্শে বাংলার পদ্মপাল এখন রাজ্যের নির্বাচিত সরকার এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অবমাননা করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা বোধ করছেন না।