Last Updated on March 2, 2022 12:41 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। প্রায় সাড়ে তিন দশক কাঁথিতে রাজত্ব চালানোর পরে এবারের পুর নির্বাচনে কাঁথি পৌরসভা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে অধিকারী পরিবার। সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে ভোট গ্রহণের পর এই ভাজপা নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি তুলেছিলেন কাঁথিতে আবার ভোট গ্রহণ করতে হবে এবং বুধবার রাজ্যের ১০৮ পুরসভার গণনার দিন কাঁথি পুরসভার (Kanthi Municipality)গণনা করা যাবে না। সেই দাবি নিয়ে রাতারাতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই আরেক নব্য ভাজপা নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় অধিকারীদের এই আবদার খারিজ করে দিলেন। কাঁথি পৌরভোট বাতিলের দাবিতে গতকাল হাইকোর্টে মামলা করেন সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikari) । তাঁর তরফে আইনজীবী আজ আদালতে বলেন, ‘কাঁথি পৌরসভায় যে ভোট হয়েছে, তার সমস্ত সিসিটিভি হয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ফরেনসিক টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করুক। অথবা সিবিআইকে দিয়েও সেই কাজ করা হোক। পুলিশের উপস্থিতিতেই তা হয়েছে। পুলিশ সাধারণ দর্শক ছিল। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে না পেরে পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও পুলিশ সহযোগিতা করেনি। কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হোক।
কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জয়ন্ত মিত্র বলেন, যে কোনও ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক পুরসভায় আমলারা ছিলেন পরিদর্শক হিসেবে। প্রয়োজনে আমলাদের রিপোর্ট ডেকে পাঠাক আদালত। নির্বাচন কমিশনের এই বক্তব্য শোনার পরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, কিন্ত বিরোধী দলের সদস্যরা চাইছেন সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতে! জয়ন্ত মিত্র বলেন, আগে তো অভিযোগ খতিয়ে দেখা হোক, সত্যি না মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শেষ রক্ষা করার জন্য ভাজপার পক্ষের আইনজীবী ফের বলেন, আপাতত কাঁথি পুরসভার ভোট গণনা পিছিয়ে দেওয়া হোক। আগামীকাল ভোট গণনা স্থগিত রাখা হোক। কিন্তু বিচারপতি বলেন, ফরেনসিক টেস্ট সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তারপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানান, কাঁথি পৌরভোটের গণনা আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে না। তবে পৌরসভার ফলাফল নির্ভর করবে এই মামলার উপর। তবে পুনর্নির্বাচন এবং গণনা স্থগিত রাখার আর্জি খারিজ করে দিলেও আইনি প্রক্রিয়া মেনে কাঁথি পৌরনির্বাচনে ভোট লুট, সন্ত্রাস ও বুথ দখলের যে অভিযোগ করা হয়েছে সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি সেখানে ভোটের সময়ের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজও সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। ৭ মার্চ কমিশনকে ও রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। তারপর তার পালটা কিছু বক্তব্য থাকলে জানাবে ভাজপা। ১১ মার্চ ফের শুনানি এই মামলার।