Last Updated on November 3, 2021 11:13 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। সুপ্রিম নির্দেশই বহাল রইল কলকাতা হাইকোর্টে। বেআইনি বাজি বন্ধের মামলাও খারিজ হল কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার, হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, রাজ্যে পোড়ানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি। আর, এই নিয়েই উৎসবের দিনগুলিতে বাজি পোড়ানোর সময়সীমা স্পষ্ট করে একটি নির্দেশিকা দিল রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। নির্দেশ অনুযায়ী, কালীপুজোয় সন্ধ্যা ৮ থেকে ১০ টা পর্যন্ত, এই ২ ঘণ্টা পড়ানো যাবে বাজি। ছট পুজোয় সকাল ৬ টা ৮ টা পর্যন্ত, ২ ঘণ্টা পড়ানো যাবে বাজি। এছাড়া, বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষে ১১ টা ৫৫ মিনিট থেকে ১২ টা ৩০ মিনিট পযর্ন্ত ৩৫ মিনিটের জন্যে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। শীর্ষ আদালত পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানোয় সায় দেওয়ার পরই বেআইনি বাজি বন্ধের জন্যে আরও একটি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজ্যে সম্পূর্ণভাবে বাজি নিষিদ্ধ করেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু, সেই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বাজি ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতি। সুপ্রিম কোর্ট আগেই পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানোয় অনুমতি দিয়ে অর্ডার পাশ করেছিল।
সেই মতই গত সোমবার সর্বোচ্চ আদালত জানায়, যে সমস্ত জায়গায় বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেশি, শুধুমাত্র সেই সমস্ত এলাকাতে পোড়ানো যাবে না বাজি। সেদিকে, নজর রাখবে প্রশাসন। তবে, সমস্ত ধরনের বাজি নিষিদ্ধ নয়। দূষণহীন এলাকায় পোড়ানো যাবে পরিবেশ বান্ধব বাজি। শুধু তাই নয়, রাজ্যে যাতে কোনভাবেই নিষিদ্ধ বাজি সীমানা দিয়ে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে প্রশাসনকে। গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যে সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করার রায় দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বক্তব্য, পরিবেশ বান্ধব বাজি নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি সৃষ্টি হয়েছে। তাই, কোন ধরনের বাজিই পড়ানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় আদালত। তারপরই, রাজ্যের বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ মানুষের রুটি-রুজির কথা মাথায় রেখেই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল সারা বাংলা আতস বাজি উন্নয়ন সমিতি। শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন জমা দেয় সমিতি।