Last Updated on August 25, 2021 11:32 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। করোনার দাপটের মধ্যেই গত বছর ঘটা করে প্রথমবার দুর্গা পুজো করেছিল রাজ্য ভাজপা। কিন্তু ভোটে ভরাডুবির পর এবছর দুর্গা পুজো করা নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে দলের অভ্যন্তরেই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই যুব ও মহিলা মোর্চার তরফে ইজেডসিসি’তে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্তের কাছে অনুমতি চেয়েছে। রাজ্যের শীর্ষ নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লি থেকে অনুমতি এলেই পুজো করা যাবে। যদিও ভাজপা সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য নেতৃত্তের একাংশের প্রথম থেকে দুর্গা পুজো করা নিয়ে মত ছিল না। বরং তারা সাফ জানিয়েছিলেন, কোন রাজনৈতিক দলের কাজ নয় দুর্গাপুজো করা। কিন্তু দিলীপ ঘোষদের মত না থাকা সত্বেও গত বছর বাংলার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় দিল্লির থেকে পুজোর করার অনুমতি আদায় করেছিলেন। তারপরই খোদ প্রধানমন্ত্রী সেই পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন অব্দি করেছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর এবছর আর পুজো আয়োজনে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তাই আদৌ পুজো করা যাবে না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মহিলা ও যুব মোর্চার নেতাদের মধ্যে। এদিকে,ভোটে গোহারান হেরে বাংলার বারোয়ারি দুর্গা পুজোতেও এখন ব্রাত্য ভাজপা। ২০১৬ সালের পর থেকেই যেখানে ভাজপার নেতা মন্ত্রীরা দিল্লি থেকে ছুটে আসতেন শহরের বারোয়ারী দুর্গাপুজো উদ্বোধনের জন্য সেই গেরুয়া নেতারাই এখন পুজো কমিটিগুলির কাছে বাদের খাতায়। কারণ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুজোয় আর ডাক পাচ্ছেন না কোনো ভাজপা নেতারা। সে দিল্লির হেভিওয়েট মন্ত্রী হোক কিংবা রাজ্যের নেতা। বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরই সব কিছুই বদলে গেছে। সূত্রের খবর, এবার ভাজপার নেতামন্ত্রিদের দিয়ে পুজো উদ্বোধনের জন্য কোনো আমন্ত্রনপত্রই আসেনি মুরলীধর সেন লেনে। বরং আগামী পুরসভা ভোট ও লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ফের একবার অবাঙালি ভাজপা নেতারা বাঙালি সাজতে চাইছেন। তাই কোন পুজো কমিটি তাদের আমন্ত্রন না দিলেও পার্টির তরফ থেকেই শহরের একাধিক পুজো কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যাতে পুজো কমিটি গুলির সঙ্গে ভাজপা নেতারা যুক্ত হয় পুরসভা নির্বাচনের আগে আবারও নতুন করে জনসংযোগ করতে পারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে।