মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ অগ্রাহ্য, মন্ত্রিসভার সম্মতি বেপাত্তা, রাজভবনে কলঙ্কিত বঙ্গভঙ্গর উদযাপন

0

Last Updated on June 20, 2023 8:01 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার আবেদন অগ্রাহ্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার, ২০ জুন ভাজপার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে মহা ধুমধাম করে রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস। মূলত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের চিন্তাধারাকে প্রচার করার লক্ষ্যেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজভবনে পালন করলেন পশ্চিমবঙ্গ দিবস। রক্ত স্নাত বাংলা ভাগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি উসকে দেওয়ার মূল কারিগর রাজ্যপাল আনন্দ বোসের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করল তৃণমূল। একইসঙ্গে তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে, বাংলায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার জন্য বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে সি ভি আনন্দ বোস তার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন ভাজপার রাজ্যস্তরের প্রায় সকল নেতা নেত্রীরা।

এদিন সকালে রাজভবনে নাচ গান বসে আঁকো সহ একাধিক অনুষ্ঠান হয়। এর পাশাপাশি এনসিসি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বেশ কিছু স্কুলের ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ্যপাল বাংলার মানুষকেও বাংলা ভাগের শুভেচ্ছা জানান। উল্লেখ্য, সোমবার রাতেই খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, তিনি যেন রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন করে বাংলা ভাগের ক্ষত চিহ্ন আবার রাজ্যবাসীর মনে উসকে না দেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন ফিরিয়ে দিয়ে মঙ্গলবার সকালে মহা ধুমধাম করে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ দিবস অনুষ্ঠান ঠিক শুরু হওয়ার প্রাক মুহূর্তে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ভাজপা বিধায়কেরা পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন এবং রেড রোড পর্যন্ত ভাজপা বিধায়কেরা পদযাত্রা করেন।

যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনকে উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস অনুষ্ঠান পালন করলেন তার চরম বিরোধিতা করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইটে লেখেন, ‘ রাজ্যপাল যেভাবে বাংলার ঐতিহ্য ধ্বংস করে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ করছেন, তা মানি না। বিরোধিতা করছি। বাংলার ইতিহাস ও মানুষকে অপমান করার পর এখানে রাজ্যপাল হিসেবে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার আনন্দ বোসের নেই।’ একইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের বিরোধিতা করে জানানো হয়েছে, ‘বাংলা ভাগ লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে ক্ষতচিহ্নের মতো হয়ে রয়েছে। এটি কখনোই পালন করা উচিত নয়। ঐতিহাসিকভাবেও এই দিনটির কোন অস্তিত্ব নেই। নির্দিষ্টভাবে আজকের দিনেই বাংলা গঠন হয় এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। একতরফা ভাবে নেওয়া সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করা হচ্ছে তৃণমূলের তরফে।