সামাজিক প্রকল্পের পর মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ণ নজর শিল্পের দিকে

0

Last Updated on September 1, 2021 11:28 PM by Khabar365Din

দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধান, স্বাস্থ্য সাথী বা লক্ষীর ভান্ডারের মত ঐতিহাসিক সামাজিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পর ফের একবার শিল্পায়নে নজর দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গল সুন্দরী প্রজেক্ট থেকে শুরু করে তাজপুর সমুদ্র বন্দর বা দেউচা পাচামি কোল ব্লক কিংবা আন্তর্জাতিক মানের অন্ডাল বিমানবন্দরে প্রায় কয়েক লক্ষ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বিনিয়োগ, লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি বাংলায় শিল্পপতিদের বিনিয়োগ সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশনাল বোর্ড গঠনের কথাও ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবং মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “বাংলা বিনিয়োগ করুন। আমাদের সরকার শিল্পের পাশে আছে। এ রাজ্য শিল্পে এক নম্বর হবেই। এবার শিল্পী টার্গেট আমাদের।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন,

শিল্পপতিদের এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। ভয় পাবেন না। এর মধ‍্যেও রাস্তা খুঁজে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা পাশে আছি। বাংলায় স্বাগত জানাচ্ছি।

বাংলায় ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে অনেকটাই রুপায়ন হয়ে গিয়েছে। অন্ডাল বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হিসেবে তৈরী করা হচ্ছে। ১৫০ কোটি টাকা এই খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চালু করা। এছাড়া কোচবিহার মালদা এবং বালুরঘাট বিমানবন্দর এর পরই কাঠামোগত সংস্কার দ্রুত শেষ করা হবে। ৩০টি হেলিকপ্টার স্টেশন তৈরি হয়ে গিয়েছে।

শিল্পায়নের ক্ষেত্রে আমরা এম্পাওয়ার্মেন্ট বোর্ড তৈরি করেছি। আমি তার চেয়ারম্যান। এতে শিল্পপতিদের সুবিধে হবে। প্রতি মাসে একবার করে বৈঠক হবে। কী কাজ বাকি আছে? কী কাজ করতে হবে সব বিষয় উঠে আসবে বৈঠকে। এবার আমাদের লক্ষ‍্য শিল্প। সিঙ্গেল উইন্ডো ফরমুলা নেওয়া হচ্ছে।

ইস্কনে ৭০০ একর জমি দেওয়া হয়েছে। তীর্থক্ষেত্র হচ্ছে অত‍্যাধুনিক মানের। নবদ্বীপ এবং কোচবিহার হেরিটেজ নগর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাই এ ব‍্যাপারে প্রথম। ৩৪ টি বাস চালু হয়েছে এই উপলক্ষে। দিঘায় স্রোতস্বিনী হয়েছে।

বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলন হবে। রাজীব (রাজীব সিনহা, প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক) তোমরা প্রস্তুতি নাও। শিল্প নিয়ে আসতে আমরা বাইরে যাব। তখন সকলকেই যেতে হবে কিন্তু।

দেওচা পচামির কাজ দ্রুত শেষ হবে। আগামী ১০০ বছর আর বাংলায় বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকবে না। দাম কমে যাবে। প্রথম পর্যায়ের জমি রাজ‍্যের হাতে। দ্বিতীয় পর্যায়ে যে জমি নেওয়া হবে তার ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন সব দেওয়া হবে।

তাজপুর বন্দরের কাজ শেষ। কেন্দ্রের জন‍্য আটকে ছিল। ডানকুনি- রঘুনাথপুর ফ্রেট করিডর আমি করে দিয়েছি। রঘুনাথপুরে জঙ্গলমহল সুন্দরী হয়েছে। ৭২ হাজার কোটি বিনিয়োগ। দেওচা পাচমিতে ১৫ হাজার কোটি বিনিয়োগ। দুই প্রকল্প মিলিয়ে কয়েক লক্ষ কর্ম সংস্থান হবে।

সামাজিক সুরক্ষায় আমরা প্রথম। দুয়ারে সরকারে ২ কোটি নাম নথিভুক্ত হয়েছে। বেশি ভিড় করবেন না, সুশৃংখলভাবে ভ্যাকসিন নিন। প্রশাসন আপনাদের সবরকম সহযোগিতা করবে। সরকার বলে দেবে কী করতে হবে। ভ্যাকসিন আমাদের হাতে নেই, কেন্দ্র শুধুমাত্র ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে, কেন্দ্র যা ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে আমরা সেটাই দিচ্ছি। এর মধ্যেও চেষ্টা করছি যাতে প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়।

ব্যাঙ্কিং পরিষেবা স্বাভাবিক করতে আগামীকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। কেউ কেউ বলেছিল কালো ধন বিদেশ থেকে দেশে ফিরবেন তাদের প্রশ্ন করছি এই প্রতিশ্রুতি কি হল যেটা বলবো সেটাই করব যেটা পারবো না সেটা বলবো না।

সরকার ইন্ড্রাস্টিকে প্রোমোট করবে। ন‍্যাশানাল প্রোডাকসান প্রোমোসন পলিসি আনা হচ্ছে। চাল গুঁড়ো হল এর অন্যতম প্রধান কাঁচামাল, বাংলা ধান উৎপাদনে দেশের মধ্যে প্রথম। চাল গুঁড়ো এখানে সহজলভ্য। আমাদের পরিকল্পনা হলো আমরা কৃষকদের থেকে চালের গুঁড়ো কিনে নেব এতে কৃষকদেরও লাভ হবে। মনে রাখবেন, আমরা সরাসরি কৃষকদের থেকে চাল কিনে নিই। রাজ্যের ১০ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছি।

পুলিশ দিবসের শুভেচ্ছা। রাজ‍্য এবং দেশের সব পুলিশকর্মীদের শুভেচ্ছা। বাংলাতেই প্রথম পুলিশ দিবস এই ভাবে পালন হয়। কেউ কেউ আবার টুইট করে ব‍্যঙ্গ করছেন। ওদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

এখন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলা ডাটা সেন্টার ইন্ডাস্ট্রি বাংলাতে হচ্ছে পলিসি ঘোষণা হয়েছে আমাদের লক্ষ্য হল ডাটা হ্যান্ডলিং এন্ড স্টোরেজ। এটা হয়ে গেলে বাংলাদেশ নেপাল ভুটান এর কাজে লাগবে। এখান থেকে ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড সমস্ত রকম সাহায্য পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই এই খাতে কুড়ি হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।

অশোকনগরে খনিজ তেল পাওয়া গিয়েছে। আওসি প্রকল্প শুরু করেছে। রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে। বাংলায় আরো এক জায়গায় খনিজ তেল পাওয়া গিয়েছে পরে এ ব্যাপারে ঘোষণা করা হবে।

গত ৪৫ বছরের মধ্যে দেশে যেখানে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ সেখানে বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here