বাড়ির পুজোর মধ্যেই এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী, ‘আলোর উৎসবের মধ্যে বেদনার অন্ধকার, সুব্রতদার মরদেহ আমি দেখতে পারবো না’ বললেন মমতা

0

Last Updated on November 5, 2021 12:58 AM by Khabar365Din

৩৬৫দিন। হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ২২ মিনিট নাগাদ সসকে হাসপাতালেই তার জীবনাবসান হয়। এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই তার দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বুকে ব্যাথা বাড়তে থাকে তার। সুব্রত মুখে পাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ির কালীপুজো ছেড়ে এসসকেএম হাসপাতালে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে এসে মমতা বলেন, আমার জীবনে অনেক দুর্যোগ দেখেছি। কিন্তু সুব্রতদার মৃতু আমার কাছে অনেক বড় দুর্যোগ।আমি কিছু বলার মত পরিস্থিতিতে নেই। এত হাসিখুশি একজন মানুষ। আর হবে না। পরিবার, নিজের বিধানসভা কেন্দ্র, দল, ক্লাব অন্তঃপ্রাণ একজন মানুষ ছিলেন। আর কেউ এমন হবে না। আমি গোয়া থেকে ফিরেই হাসপাতালে আসি। সেদিনও আমার সঙ্গে দেখা হল, হাসল। বলল আমি আবার জেলায় জেলায় যাব। আজকে সন্ধেয় শুনলাম ভাল আছেন। কালকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই বিরাট হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেল। কিছু করা গেল না। কয়েকবছর আগে দার্জিলিংয়ে গিয়েও এমন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কোনমতে বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। হার্টের ব্যাপারটা এমন না, কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে দেখিয়েও নিতে হয়।

তাহলে প্রাণটা এভাবে চলে যেত না। আজকে মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়ে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হবে। কাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে শায়িত থাকবে দেহ। যারা শেষ দেখ তে চান সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান হবে। সেখান থেকে বাড়িতে যাবে, ক্লাবে যাবে দেহ। আমি সেখানে থাকব না। আমি এরককম দেখতে পারিনা। কালীপুজোর এত আলোর দিনে অন্ধকার নেমে এল। পরে মুখ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠন মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। পাশাপাশি সুব্রতদা ক্রেতা সুরক্ষা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। হাসিমুখে তিনি জেলায় জেলায় ঘুরে আমাদের সরকারের কাজে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। এছাড়া কলকাতার মেয়র হিসাবে কলকাতার সামগ্রিক উন্নয়নে তাঁর বিশেষ ভূমিকা স্মরণীয়। সুব্রতদা ছাত্র আন্দোলনে সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থেকেছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকেই আমি তাঁর সঙ্গে থেকেছি, তাঁর নেতৃত্বে বড় হয়েছি। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং শারদীয়া দুর্গাপূজার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। সুব্রতদার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক ছিল। তিনি আমার অগ্রজ ও অভিভাবকতুল্য ছিলেন। তাঁর প্রয়াণ আমার কাছে এক বিরাট ক্ষতি শুধু নয়, রাজ্যের তথা দেশের রাজনৈতিক জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here