Last Updated on September 26, 2023 6:56 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। ২০০৯ সাল থেকে যাদবপুরে ট্যাগিং রুখতে যে কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি, তা এবার প্রমাণ হয়ে গেল ইউজিসির রিপোর্টেই।মেইন হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসে ইউজিসির প্রতিনিধি দল। দুদিন ধরে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। এরপরই শনিবার রেজিস্টার স্নেহমঞ্জু বসুকে চিঠি পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের কাছে একাধিক বিষয়ে কৈফয়ত তলব করেছে ইউজিসি। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফে যাদবপুরের বিরুদ্ধে ৯ দফায় বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ১৫ দিনের মধ্যে তার জবাব চাওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেয়ারটেকার উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির বেশ কয়েকটি নিয়ম মানা হয়নি বলে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে। ইউজিসি রিপোর্টেও বলা হয়েছে হস্টেলের আবাসিকদের নিয়ন্ত্রণ করত কিছু ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও সে কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য আলাদা হোস্টেলের কথা বলা হয়েছে, সেই কাজ শুরু করা হয়েছে। খুব দ্রুত হয়ে যাবে। ডেঙ্গির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অফিসার অসুস্থ রয়েছেন। তাই কাজ করতে দেরি হচ্ছে।
ইউজিসি জানতে চেয়েছে-
১.এতদিন ধরে বিশ্ব বিদ্যালয়ের অ্যান্টি ট্যাগিং এর নিয়মাবলী মানা হয়নি কেন? ট্যাগিং এর তদন্ত করার দায়িত্ব এন্টি রাগিং
স্কোয়াডের,তাহলে এক্ষেত্রে অ্যান্টি রাইট স্কোয়াডকে কেন নিষ্ক্রিয় করে রাখা হলো?
২.২০০৮ সালের পর থেকেই ইউজিসির গাইডলাইনে হস্টেলে সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক। সেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়নি কেন?
৩.পাস করে যাওয়ার পরও হস্টেলে বছরের পর বছর ধরে থাকত প্রাক্তনীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবকিছু জানার পর ও কেন চুপ করেছিল? প্রাক্তনীদের হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?
৪.কিছু ছাত্র হস্টেলের আবাসিকদের নিয়ন্ত্রণ করত। কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ?
৫.হস্টেলের মধ্যে রেগিং এর মত নিকৃষ্ট ঘটনা জানার পরও হস্টেল সুপার চুপ করে ছিলেন কেন? তার ভূমিকা কি ছিল?
৬.প্রথম বর্ষের ছাত্রদের থাকার জন্য এতদিন ধরে কেন আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করা হয়নি?
যন্তরমন্তর ঘরে গাঁজা, মদ খাইয়ে ছাত্রদের মাথা নষ্ট করা হচ্ছে
বহু বছর ধরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে আবারও মুখ খুললেন বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, ইউজিসি যে রিপোর্ট স্পষ্ট যে ২০০৯ সাল থেকে ক্যাম্পাসে অ্যন্টি র্যাগিং নিয়মাবলী মানা হয়নি। আসলে গ্রাম থেকে আসা ছেলেপুলে গুলোকে ওই পাকা মাথার লোক গুলো যন্তর মন্তর ঘরে ঢুকে গাজা মদ খাইয়ে এই অবস্থা করেছে।প্রথম বর্ষের ছাত্র যখন হোস্টেলের মারা গেল তখন অ্যান্টেনা স্কোয়াডকে তদন্তই করতে দেওয়া হল না, অ্যান্টি রাকিং কমিটির মাথায় যিনি ছিলেন তিনি বললেন এই ঘটনার তদন্ত করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক তদন্ত কমিটি। কিন্তু কেন অ্যান্টি স্কোয়াডকে কাজ করতে দেওয়া হল না জানি না। এখন কিছু পাকা মাথা আমায় সরাতে চাইছে । তাই ওরা কিছু ছাত্রছাত্রীকে সামনে রেখে প্রমাণ করাতে চাইছে যে আমি নিষ্ক্রিয়। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রাক্তন সেনা কর্মী নিয়োগে কিছু ছাত্র-ছাত্রীর আপত্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ক্যামেরা বসবে এ ক্ষেত্রে ছাত্রদের আপত্তির কি আছে এটা তো স্বাভাবিক। প্রাক্তন সেনা কর্মীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক।