Last Updated on October 19, 2021 11:19 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। পানাজি। গোয়ার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভাজপাকে হারাতে পারেন একমাত্র মমতা। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ভাজপাকে হারিয়ে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি থেকে মোদি সরকারকে হটানোর জন্য তৃণমূলের হাত শক্ত করতে হবে। এমন দাবি করে এবারে তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ায় কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী তথা সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়া রাঠোর। গোয়ার প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা সভানেত্রী সুস্মিতা দেব। পরে বাংলা থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন সুস্মিতা। আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে প্রিয়া রাঠোর বলেন, দেশের মধ্যে তৃণমূল হলো একমাত্র রাজনৈতিক দল যেখানে সংসদীয় রাজনীতিতে ৪১ শতাংশ মহিলার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। কংগ্রেস এখনো পর্যন্ত পরিকল্পনা করছে উত্তরপ্রদেশের আগামী বিধানসভা নির্বাচন থেকে ৪০ শতাংশ মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। মমতা দিদির নেতৃত্বেই ভারতে নারী শক্তির পুনরুজ্জীবন ঘটেছে।
কংগ্রেসে মূলত সুস্মিতা দেবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়া রাঠোর। প্রিয়া রাঠোর এর পাশাপাশি আজ গোয়াতে ভালপোই ব্লকের সম্পূর্ণ কংগ্রেস ব্লক কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিল তৃণমূলে। সেইসঙ্গে আরও ২০০ কংগ্রেস কর্মী ও নিচু স্তরের নেতৃত্ব মমতার তৃণমুলকেই প্রকৃত কংগ্রেস বলে অভিহিত করে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিল।
কংগ্রেস নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দিয়ে গোয়া থেকে ভাজপা সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন গোয়ার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত অভিধানবিদ ও ব্যাকরনবিদ দামোদর ঘনেকার। গোয়ায় ভাজপা কে হারানোর পাশাপাশি ভাজপা সরকারের আমলে গোয়ার যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বাণিজ্যিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে তা ফেরানোর লক্ষ্যে তৃণমূলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে যোগ দিলেন মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার বিশিষ্ট শিল্পপতি সিদ্ধেশ্বর নাথ মিশ্র এবং সীমা মিশ্র।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের তৃণমূলের প্রতি এই সমর্থন দেখে উচ্ছ্বসিত গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো বলেন, গোটা দেশে এই মুহূর্তে প্রকৃত কংগ্রেস হিসেবে নিজের জায়গা তৈরি করেছে তৃণমূল। মমতা দিদি যেভাবে সমস্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সীর চক্রান্তের বিরোধিতা করে ভাজপা বিরুদ্ধে একা লড়াই করে জয়ী হয়েছেন, সেই লড়াইয়ে অংশীদার হতে এগিয়ে আসছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। প্রসঙ্গত, ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ভাজপার আসন বর্তমানে ২৭, কংগ্রেসের ৫, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির ৩, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির হাতে ১, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির হাতে ১ ও নির্দলদের হাতে রয়েছে ৩ আসন। যদিও ২০১৭ সালে গোয়ায় কংগ্রেস পেয়েছিল ১৭ আসন আর ভাজপা পেয়েছিল ১৩ আসন। তাই গোয়ায় কংগ্রেসের সংগঠন যেভাবে তৃণমূলে মিশে যেতে শুরু করেছে তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তৃণমূলের ক্ষমতা দখল করা অসম্ভব নয়।