Last Updated on November 2, 2020 3:09 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। রাজনৈতিক প্রতিবেদন। বাংলার দুর্গাপুজো বন্ধ করার জন্য আদাজল খেয়ে আদালত পর্যন্ত দৌড়ে চেষ্টার কোন কসুর করেনি সিপিএম। এবার লক্ষ্মী পুজো শেষ হতে না হতেই কিভাবে কালীপুজো এবং দিওয়ালি বন্ধ করা যায় তার জন্য আসরে নামল বাংলার কমরেডরা। এরাই অবশ্য আদালতের ভয় দেখিয়ে দুর্গাপুজো বন্ধ করার চেষ্টা করে পুজোর দিনগুলিতে ভােটের প্রচার চালিয়ে গেছেন রাজ্য জুড়ে। সুজন চক্রবর্তী কালীপুজো এবং দিওয়ালি বন্ধ করার জন্য তাে ইতিমধ্যেই মুখ মন্ত্রীকে রীতিমতাে হুমকি দিতে শুরু করেছেন। প্রয়ােজন হলে আবার আদালতে গিয়ে মামলা করে বাংলায় যাতে কেউ কালীপুজোর দিওয়ালি পালন করতে না পারে তার ব্যবস্থা করার ইতিমধ্যেই বিকাশ ভট্টাচার্যকে আইনি প্রস্তুতি নিতে জানিয়ে দিয়েছে আলিমুদ্দিন।দুর্গাপুজো বন্ধ করতে যেভাবে সিপিমের তরফের বিকাশ ভট্টাচার্যকে মাঠে নামানাে হয়েছিল, কিভাবে বাড়ি কালীপুজো বন্ধ করার চক্রান্তে রাজ্য সিপিমের পক্ষ থেকে মাঠে নামানাে হয়েছে সুজন চক্রবর্তীকে। একজন বিধায়ক হিসেবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অথবা সরকারের কাছে আবেদন অনুরােধ এর পথে না গিয়ে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকির পথে নেমেছেন সুজন।
শুধু তাই নয় সুজন চক্রবর্তীর হুমকির ভাষাও অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচয়। নিজের টুইটারে সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত শুনুন, মাননীয়া ।ডাক্তার, বিজ্ঞানীদের পরামর্শ গ্রহণ করুন। ওদের পরামর্শ আর আদালতের নির্দেশ, বিপজ্জনক কোভিড সংক্রমনের হাত থেকে, মানুষকে অনেকটাই বাঁচিয়েছে। এর পরেই কার্যত হুমকির সুরে সুজনের বক্তব্য, দীপাবলি কিংবা বাজী উৎসব যেন মানুষের বিপদ না বাড়ায়। সচেতন দায়িত্ব পালন করুক সরকার। ব্যবস্থা নিক দ্রুত। তবে শুধু সুজন বা বিকাশ নয়, আসরে নেমেছেন সিপিমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও। সূর্যকান্তের বক্তব্য, সরকারের সদর্থক ভূমিকার উপর নির্ভর করা যায়না। তবে কালীপুজোর দিওয়ালি অথবা দুর্গাপুজোয় মানুষের উৎসব পালন বন্ধ করতে আদালতের ভয় দেখিয়ে গেলেও ভােটের প্রচার অথবা চলতি মাসে ভারত বন্ধের প্রচার করতে পথে-ঘাটে মাস্ট অথবা যাবতীয় সামাজিক দুরত্ব বৃদ্ধি ছাড়াই সভা-সমিতি করতে বাংলার কমরেডদের বিবেক জাগ্রত হচ্ছেনা অথবা হয়তাে বা তাদের মনে হচ্ছে সিপিএমের ভােটের প্রচারে করােনা ছড়ায় না!