Last Updated on October 25, 2020 7:24 PM by Khabar365Din



৩৬৫ দিন। রাজনৈতিক প্রতিবেদন। পুজো মণ্ডপে ভিড় হলে কোভিড সংক্রমণ ভয়ঙ্করভাবে বৃদ্ধি পাবে, এই কারণকে সামনে রেখে কৌশলে বাঙালির পুজো বন্ধ করে দিয়েছে সিপিএম। কিন্তু, প্রত্যেক পুজো মণ্ডপের বাইরে স্টল খুলে সেখানে ভিড় করাতে বিন্দুমাত্রও কুণ্ঠাবোধ করছে না পার্টি। বাংলার সিপিএম নেতারাই যেখানে কোনদিন মার্কসের নীতি মেনে চলার চেষ্টা করেননি, সেখানে পাড়ায় পাড়ায় পুজো মণ্ডপের সামনে মার্কসীয় সাহিত্যের স্টল থেকে আম পাবলিক বই কিনবেন না এটা বোঝার জন্য কার্ল মার্কস পড়তে হয় না। মোদ্দা কথাটা হল সাধারণ বাঙালির পুজো বন্ধ করিয়া পুরোদমে ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছে বাংলার সিপিএম নেতারা।
কখনও স্টলগুলোতে গিয়ে হাজির হচ্ছেন বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তীর মতো সিপিএমের প্রথম সারির নেতৃত্ব। যাঁদের ঘিরে পার্টি কর্মীরা স্টলের অন্দরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। সব মিলিয়ে এবার বলা বাহুল্য, পুজো মণ্ডপ থেকে নয়, বরং সিপিএমের বইয়ের স্টল থেকেই ভাইরাস দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে।
যাদবপুর কফি হাউজের সামনে সিপিএমের সবচেয়ে বড় বইয়ের স্টল বসে। স্টলের দায়িত্বে থাকা এক ছাত্র নেতার কথায়, পরিস্থিতি বুঝে বই কম তুলেছি। কমিউনিজমের বই কেউ কিনছে না বলে স্টলে টিনটিন থেকে হর্ষবর্ধনের কমিকস সামনের সারিতে সাজিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে কমরেডরা। তবে, প্রশ্ন একটাই। যেখানে জমায়েত হবে বলে সিপিএম দুর্গাপুজোটা পুরো ভাসিয়ে দিল, সেখানে স্টলে প্রবেশ করে কমরেডগণ যখন কোভিড বিধি উপেক্ষা করে বইয়ের স্টল দেওয়ার নামে ভোটের প্রচার করছেন, তখন কি সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে না? উত্তর নেই। শহরের সমস্ত দুর্গাপুজো মণ্ডপের বাইরে নো-এন্ট্রি বোর্ড লাগানোর ব্যবস্থা করেছে সিপিএম, কিন্তু পুজো মণ্ডপগুলোর বাইরে বইয়ের স্টল নির্মাণ করে পার্টি সদস্যদের ভিড় বুঝিয়ে দিচ্ছে, মানুষের শারদোৎস নষ্ট করে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ফেরাতে মরিয়া আলিমুদ্দিন।