Last Updated on January 24, 2022 8:58 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। Khabar365din কোনও ক্রিকেটার (Cricket) যদি ম্যাচ গড়াপেটা (Match Fixing) করেন, তবে তা নৈতিক অপরাধ। সংশ্লিষ্ট খেলা এবং তার অনুরাগীদের সঙ্গে নিশ্চিত তঞ্চকতা। এরজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু কখনোই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ফৌজদারি ধারা লাগিয়ে গ্রেফতার করা যায় না। ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত এক মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (High Court of Karnataka)। ২০১৯ সালে কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগে (Karnataka Premier League) চার জনের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগের মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি শ্রীনিবাস হরিশ কুমার বলেন, ‘‘ম্যাচ গড়াপেটার অর্থ অসততা, বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি হতে পারে। তার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।
কিন্তু ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ নম্বর ধারা অনুযায়ী ম্যাচ গড়াপেটার জন্য এফআইআর (FIR) দায়ের করা যাবে না।’’ আদালতের যুক্তি, খেলা দেখতে যারা মাঠে আসছেন তারা স্ব ইচ্ছায় টিকিট কাটছেন টাকার বিনিময়ে। কেউ তাদের ভুল বুঝিয়ে বা জোর করে টিকিট কাটতে বাধ্য করছেন না। তাই টিকিট কাটার ক্ষেত্রে কোনও প্ররোচনার ব্যাপার নেই। আদালত কর্নাটক পুলিশ অ্যাক্টের ২(৭) ধারা তুলে বলে, এখানে বলা আছে জুয়া খেলার মধ্যে কোনও অ্যাথলেটিক স্পোর্টের অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়নি। তাই কোনও ভাবেই ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে আইপিসি-র ৪২০ ( প্রতারনা) , ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারা লাগানো যাবে না। চার্জশিট থেকে এই যাবতীয় ধারা বাদ দিতে হবে। ভবিষ্যতে ম্যাচ গড়াপেটার ক্ষেত্রে কোনও রকম এফ আই আর করা যাবে না।