Last Updated on May 7, 2022 9:27 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘অশনি’ (Asani)।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা শনিবার থেকে আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর পূর্বে অগ্রসর হবে নিম্নচাপ। রবিবার সন্ধেয় নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করবে। ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী মঙ্গলবার অশনি উত্তর অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা।‘অশনি’র প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বাংলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ‘অশনি’ সতর্কতায় তৎপর নবান্ন। সুন্দরবনে আগাম সতর্কতা জারি হয়েছে। কাকদ্বীপ,ক্যানিং মহকুমা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড় অশনি নিয়ে ইতিমধ্যেই ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ এর প্রশাসনিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন, যেখানে উপস্থিত ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দল বিভিন্ন পঞ্চায়েতের সদস্যরা পুলিশ প্রশাসন ও রেস্কিউ কিউ আর টি টিম। ইতিমধ্যেই সাগর,নামখানা গোসাবা,পাথর প্রতিমা,বাসন্তী, ক্যানিং সহ একাধিক এলাকায় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচার করা হচ্ছে, যাতে আগামী মঙ্গলবার এর পর কোন ভাবে গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে না যায়।

পাশাপাশি যে দুর্বল নদীপথ গুলি ছিল সেই গুলো ইতিমধ্যেই নজরদারি চালানো হয়েছে প্রশাসনিক দপ্তরের পক্ষ থেকে এবং গঙ্গাসাগর কাকদ্বীপ শহর সুন্দরবন এলাকায় যে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছে সেই গুলির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালানো হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি যেসব ফ্লাট সেন্টার গুলি রয়েছে সেগুলো ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইতিমধ্যেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার কথা জানানো হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড় অশনি আসার আগেই, বুলবুলিয়া, ইয়াস, আম্পান অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি জেলা প্রশাসন । দক্ষিণ 24 পরগনার পাশাপাশি উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চূড়ান্ত সর্তকতা জারি করা হচ্ছে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন উপকূলে এলাকা থেকে কত মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ের সরানো হবে তার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে পাশাপাশি নজরদারি চালানো হচ্ছে নদী এবং সমুদ্র বাঁধ গুলোর উপর ফ্লাড সেন্টার গুলিকে জরুরী ভিত্তিতে তৈরি রাখা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত যা খবর তাতে ঝড়ের চেয়ে বৃষ্টির আশঙ্কা বেশি রয়েছে প্রবল বৃষ্টি হলে উপকূলে নীচু এলাকা জলে ডুবতে পারে তাই পর্যাপ্ত ত্রিপল শুকনো খাবার মজুত রাখা হচ্ছে। দুর্যোগের পর বিভিন্ন সংক্রামক রোগের আশঙ্কা থাকে তাই বিভিন্ন ওষুধ মজুত করা হচ্ছে সব মিলিয়ে আগে থেকে প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে জেলা প্রশাসন।