Last Updated on September 25, 2021 12:16 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। দিল্লির রোহিণী কোর্টে গুলি চলনোর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল আদালত। শুক্রবার ঘটনার পরই দিল্লি পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্তানাকে জরুরি তলব করেন রোহিণী আদালতের বিচারপতিরা।একইসঙ্গে কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট আগামী ২৪ মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।এদিকে, নিজেদের নিরাপত্তা অর্থাৎ আদালতে আইনজীবী, বিচারপতি ও আইন প্রার্থীদের নিরাপত্তা বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছে রোহিনী আদালত। বিচার কক্ষেই যদি গুলি চলে তাহলে দিল্লি বাসিন্দাদের নিরাপত্তা কোথায়? এই প্রশ্ন তুলেছেন রোহিনী আদালতের আইনজীবী, বিচারপতিরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের ব্যর্থতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলেই দাবি করছেন তারা। দিল্লি বার কাউন্সিলের তরফে বলা হয়েছে, দিল্লি পুলিশ রাজধানীর মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি আদালতে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। তাদের গাফিলতি ছিল বলেই আদালতের মধ্যে গুলি চলেছে। ঘটনার পরই দিল্লি পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দুজন দুষ্কৃতী আইনজীবীদের পোশাক পড়ে রিভলবার নিয়ে আদালতকক্ষের মধ্যে প্রবেশ করল কি করে?আদালতের ২১৭ নম্বর ঘরে ঢোকার ক্ষেত্রে কোনো সিকিউরিটি চেকিং হয়নি? জিতেন্দ্র গোগীর মত কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে আদালতে পেশ করার ক্ষেত্রে কেন বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি পুলিশ? তাহলে কি পুলিশের যোগসাজশেই এই ঘটনা ঘটেছে? নাকি কোন বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ্যে চলে আসবে বলেই খুন করা হল গোগীকে? এই সব প্রশ্নের উত্তর অজানা হলেও দিল্লি পুলিশ নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত। কমিশনার রাকেশ আস্তানা জানিয়েছেন, গুলি চালানোর ঘটনায় গোগী সহ মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।যে দুজন আইনজীবী বেসে গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগী ওপর গুলি চালিয়েছে তারা টিল্লু গ্যাং এর সদস্য বলেও জানা গিয়েছে ।এদিন মোট ৩০ থেকে ৩৫ রাউন্ড গুলি চলে। একজন মহিলা আইনজীবী সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, গতবছর মার্চ মাস নাগাদ গোগী কে পাকড়াও করে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির তিহার জেলেই ছিল এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। টিল্লু এবং গোগীর মধ্যে ২০১০ সালের পর থেকেই এলাকা দখল নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। একসময় গোগীর হয়ে কাজ করতো টিল্লু। কিন্তু ২০১০ সালে টিল্লু গভীর গ্যাং ছেড়ে নিজের আলাদা গ্যাং তৈরি করে।