৩৬৫দিন। এবার বর্ষার সময়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হলো হাওড়ায়। এক মাসের ‘পালস মোড ক্লিনিং’ এর জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভাকে বরাদ্দ করেছে ৩৭ লক্ষ টাকা। এক মাসের এই পাইলট প্রোজেক্টের কাজে অতিরিক্ত ৬০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।
ডেঙ্গু রুখতে রাজ্য সরকারের ‘পালস মোড ক্লিনিং’ প্রকল্পে হাওড়া পুরনিগমকে মডেল হিসেবে ধরে কাজ শুরু করা হয়েছে। এক মাসের এই প্রোজেক্টের কাজের জন্য রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে ৩৭ লক্ষ টাকা। পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডেঙ্গু রুখতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চলবে সাফাই অভিযান। এজন্য পুরসভার তরফে অতিরিক্ত ৬০০ জন লোককে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাঁরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে সাফাইয়ের কাজ করবেন। ১ মাসের এই প্রকল্পে কোথাও অনেকদিন ধরে জঞ্জাল পড়ে রয়েছে বা কোথাও পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে বা জমা জল রয়েছে যার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়াতে পারে তা সাফাই করবেন তাঁরা।
বুধবার দুপুরে হাওড়া পুর প্রশাসকমন্ডলীর প্রধান ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান, এই সাফাই অভিযানের জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশেই রাজ্য সরকারের ‘পালস মোড ক্লিনিং’ প্রকল্প হাওড়াতেই প্রথম শুরু করা হয়েছে। প্রত্যেক বছরই বর্ষার আগে এবং পরে হাওড়া শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে।
তাই এবছর যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ না বাড়ে সেজন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে হাওড়া পুরনিগম। জঞ্জাল জমে রয়েছে বা জমা জলে যাতে ডেঙ্গু মশার লার্ভা বাসা বাঁধতে না পারে সেজন্যই হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ চলছে।
হাওড়া পুরসভার ৪৬ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোজিত এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড পিছু ২৫ জন ও বাকি ওয়ার্ড পিছু ১০ জন করে সাফাই কর্মী প্রতিদিন এই কাজটি করছেন।
হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে চুক্তি করে একটি সংস্থা এই সাফাই কর্মীদের নিয়োগ করেছে। এছাড়াও আগস্ট মাস থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাফাই কর্মীরা জঞ্জাল সংগ্রহ করবেন। এমন পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে সুজয় চক্রবর্তী জানান।