Last Updated on February 18, 2023 7:13 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন।চরম অপমান।গুম হয়ে যাওয়া রবীন্দ্রনাথ ভাস্কর্যের মূর্তি মিলল জঞ্জাল থেকে।যা নিয়ে ইতিমধ্যে তীব্র শোরগোল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।তবে এই ঘটনার পেছনে রয়েছে বর্তমান প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।আর সরকারকে খুশি করতেই দালাল হয়ে উঠেছে কতৃপক্ষ।এমনটাই অভিযোগ সেখানকার পড়ুয়ারাদের।এর প্রতিবাদেই বৃহত্তর আন্দোলন করবে বলেও জানিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা।ঘটনাটির সূত্রপাত ঘটে গত মঙ্গলবার।সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একদল শিক্ষার্থীর উদ্যোগে ভাস্কর্যটি সেখানে স্থাপন করা হয়।পেরেক পোতা গীতাঞ্জলি হাতে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ।

এমন ভাস্কর্যের কারণ হিসেবে তাঁরা যায়,রাষ্ট্র যেভাবে নিপীড়নের মাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা দিয়ে আসছে,সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে তারই প্রতিবাদের প্রতীকি হিসেবে এই মূর্তিকে স্থাপন করা হয়েছে।তবে কিন্তু স্থাপনের একদিন পর বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ভাস্কর্যটি ‘গুম’ করে ফেলে। রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যটির খণ্ডিত অংশ এবং ভাঙা মাথা সর্বশেষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেখা যায়। এরপরে সেখান থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়েছে। মানুষের অধিকারের পক্ষে বানানো একটা ভাস্কর্য ‘গুম’ করে নষ্ট করার এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সরকারের তোষামোদি আচরণের প্রমাণ দিচ্ছে।যার তীব্র প্রতিবাদ আমরা জানাবই।
জানা গিয়েছে,সাড়ে ১৯ ফুট উচ্চতার এই ভাস্কর্য নির্মাণ ও স্থাপনের নেতৃত্ব দেন চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার।তিনি জানিয়েছেনন,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কর্তৃপক্ষ রাতের অন্ধকারে এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে দিয়েছেন। তবে এই বিষয় আমাদের এখন আর অবাক করে না।এটা চলমান সেন্সরশিপ আরোপের রাজনীতির ধারাবাহিকতা। ভাস্কর্যটিতে দেশে ঘটে যাওয়া এই রাজনৈতিক সংস্কৃতিকেই প্রতিবাদস্বরূপ তুলে ধরা হয়েছিল।এটাই দেখার যে, রাষ্ট্র যেভাবে মতপ্রকাশকে দমন করে আসছে,বিশ্ববিদ্যালয়ের দালাল প্রশাসন সেই দমন-পীড়নবিরোধী একটি প্রয়াসকে একই উপায়েই দমন করল।