Last Updated on September 10, 2022 9:58 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ফের গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে কলকাতার বুকে কোটি টাকা উদ্ধার। গার্ডেনরিচের বাসিন্দা পরিবহন ব্যবসায়ী নিসার আহমেদ খানের ছেলে আমির খানের বাড়ি থেকে শনিবার সন্ধ্যা অবধি ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এই আমিরের সূত্র ধরেই উঠে এসেছে অনলাইন এই গেমিং অ্যাপ’ এর নাম।
কিভাবে লোক ঠকানো হতো ;
ইডি সূত্রে খবর, এই অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায় না। সরাসরি রেফার লিঙ্কের মাধ্যমে নামাতে হয় অ্যাপটি। অন্যান্য গেমিং আপের মতোই আমিরের এই অ্যাপ এর মাধ্যমে প্রথমে ২০০ টাকা দিয়ে সদস্য পদ নিয়ে খেলা শুরু করা যায় |
এরপর গেম খেলে যা জেতা যায় তা কয়েন এর মাধ্যমে তা সরাসরি ইউজার এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যেত।এই গেমিং অ্যাপে খেলা শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে ইউজার ভাল টাকাই ফেরত পান। সেই টাকা পেতে খুব একটা কসরতও করতে হয় না ইউজারকে। ফলে এই খেলার প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ তৈরি হয় তাঁদের।
ইডি সূত্রে খবর, এই অ্যাপ-কর্তাদের মূল উদ্দেশ্যই হল ইউজারদের আত্মবিশ্বাস জিতে নেওয়া, যাতে তাঁরা আরও বেশি করে টাকা খাটাতে আগ্রহী হন। এরপর বড় অঙ্ক অ্যাপ এ দেওয়ার পরই ওই অ্যাপ থেকে উইথড্র অপশনটি বন্ধ করে দিত বলে ইডি জানিয়েছে । একের পর এক কয়েন জিতে মোটা টাকা জিতলে টাকা তোলা যেত না। তখন একে সার্ভার প্রবলেম বলা হত। এরপর আমিওর সেই টাকা তুলে নিত। এখানে টাকা খাটিয়ে প্রচুর টাকা খুইয়েছেনএমন মানুষের সংখ্যা অজস্র। দেশের বিভিন্ন থানায় এই অ্যাপ সংক্রান্ত অভিযোগও দায়ের করেছেন প্রতারিতরা।

এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কোটি টাকার লেনদেন পাওয়া গেছে এই প্রতারণাতে।
জানা গিয়েছে, যেমন কড়ি খরচ করবেন ‘ইউজার’, তেমন তাঁর মেম্বারশিপের ‘লেভেল’ হবে। ২০০ টাকা খরচেই এই অ্যাপের সাধারণ মেম্বার হতে পারেন কেউ। অর্থাৎ এই গেমিং অ্যাপে ২০০ টাকা খরচ করলে একটা ভাল অঙ্কই হাতে আসবে। সাধারণত, ২০০ টাকায় ভাল টাকা ফেরত পাওয়ার পর পরবর্তী ধাপের মেম্বারশিপের দিকে ঝুঁকতে চান ইউজাররা। এই টোপেই কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নেন অ্যাপ সংস্থার কারবারিরা।
কি ভাবে হদিশ পাওয়া গেল;
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক অভিযোগ দায়ের করে লেনদেন নিয়ে । মূলত চিটিং ও জালিয়াতির অভিযোগ হয় আমির খান এর নামে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা হয়েছিল। কোর্টের নির্দেশেই বিষয়টি পার্ক স্ট্রিট থানায় যায়। সেখান থেকে খবর যায় ইডিতে। ইডি জানিয়েছে তারা এখনো পর্যন্ত এই মামলায় ৬ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে।