Last Updated on July 2, 2023 7:58 PM by Khabar365Din
সাক্ষাৎকার- সৌগত মন্ডল
৩৬৫ দিন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ ওম প্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে নাকি তদন্ত কমিশন তৈরি হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নাকি তদন্ত করা হবে রাজ্যপালের নির্দেশে। গভীর রাতে কোনরকম সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে গুড নাইট মেসেজ পাঠানোর কায়দায় এমন এক ঘোষণা করেছেন বাংলার পদ্মপাল। কিন্তু রাজ্যের রাজ্যপাল পদে বসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিয়মতান্ত্রিক আচার্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এই তদন্ত কমিটি তৈরীর নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ ওম প্রকাশ মিশ্র। আগামীকাল কলকাতা প্রেসক্লাবে প্রেস কনফারেন্সের আগে এই বিষয়ে জানালেন খবর ৩৬৫ দিনকে।
প্রশ্ন – গতকাল গভীর রাতে আপনার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গড়ার কথা বলেছেন রাজ্যপাল। সেই বিষয়ে আপনাকে কিছু জানানো হয়েছে রাজ ভবন থেকে?
ওম প্রকাশ – গতকাল রাতে ১১:৩০ টা নাগাদ নাকি মাননীয় আচার্যের তরফে এমন একটি বিজ্ঞপ্তি তার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে বলে শুনেছি। ১২ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন বিজ্ঞপ্তি পাইনি।
প্রশ্ন – রাজভবনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়া হলেও আপনি কোন চিঠি বা ইমেইল পান নি এখনও?
ওম প্রকাশ – না। একজন প্রতিষ্ঠিত অধ্যাপক যিনি উপাচার্যের দায়িত্ব সামলেছেন তার বিরুদ্ধে কোন এনকোয়ারি সেটা সম্মানীয় আচার্য রাত সাড়ে 11 টায় রাজভবনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানাচ্ছেন।
অথচ এই তথাকথিত এনকোয়ারী সম্পর্কে আমাকে অর্থাৎ ওম প্রকাশ মিশ্রকে কোন কিছু জানানো হয়নি। তারপর থেকে ১২ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে তার পরেও জানতে পারলাম না। অথচ সাংবাদিকদের সেটা গ্রুপে জানানো হচ্ছে, এটা কি নিয়ম সঙ্গত? এটা কি বিধিসম্মত? এভাবে কি মাননীয় আচার্যের দফতর পরিচালিত হয়? এই প্রশ্নটা আমার রয়েছে। কারণ ১২ ঘণ্টা হয়ে গেল এখনো কোনো চিঠি আমি পাইনি। কেন পাইনি সেটা জানার আমার খুব ইচ্ছে রয়েছে।
প্রশ্ন – হঠাৎ করে আপনার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠন হলো কেন?
ওম প্রকাশ – এটা সর্বজনবিদিত যে বাংলার প্রাক্তন অধ্যাপক এবং প্রাক্তন উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে আগামীকাল বিকেলে আমি কলকাতা প্রেসক্লাবে এটা প্রেস কনফারেন্স আহ্বান করেছি।
তাই এই প্রেস কনফারেন্সের কথা ঘোষণা করার মাত্র পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই যে তথাকথিত এনকোয়ারির কথা বলা হচ্ছে তা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দিয়ে সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমকে পরিচালনা করার জন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কে বা কারা এই অসৎ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেটা জানার প্রয়োজন। কারণ আমার কাছে এখনো সরকারি ভাবে কোন চিঠি আসেনি। কারণ গোটা বিষয়টাই নিয়ম বহির্ভূত।
প্রশ্ন – নিয়ম বহির্ভূত কেন বলছেন? রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে গত সপ্তাহে রাজ্যপালের উপস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ওম প্রকাশ – এই তথ্য একেবারে সঠিক নয়। আচার্যের পক্ষ থেকে যদি এমন বিবৃতি দেওয়া হয়ে থাকে সেটা সম্পূর্ণ অসত্য। গত ২৬ তারিখ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠকের যে আলোচনা হয়েছিল সেখানে কোথাও আমার প্রসঙ্গ আসেনি অথবা আমার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।
প্রশ্ন – তাহলে এই সিদ্ধান্ত কিভাবে নেওয়া হল?
ওম প্রকাশ – সিদ্ধান্ত কিভাবে এবং কেন নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা খুব স্বাভাবিক। কারণ সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা প্রচার করে দেওয়া হলেও কোন নথিপত্র না পাঠিয়ে প্রচার করার জন্য নিশ্চয়ই কারো বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। গতকাল রাতে বিশেষ কোন ব্যক্তিদের পরামর্শে আমার বিরুদ্ধে হঠাৎ করেই তদন্ত কমিশন গঠনের কথা জানানো হয়েছে। আর সেটা হয়েছে আমি প্রেস ক্লাবের প্রেস কনফারেন্স আহবান করার খবর পাওয়ার পরে।