৩৬৫ দিন। বেকারত্ব মূল্যবৃদ্ধি থেকে নজর ঘোরাতেই ধর্মীয় বিভাজন- দেশের সাম্প্রতিক দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাজন বলেন, দেশে যত বেকারত্ব বাড়বে, অর্থনৈতিক দিক থেকে বৈষম্য তৈরী হবে ততোই তার সুযোগ নেবে এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ। এই সুযোগে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন। ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরী করে আসল সমস্যা থেকে নজর ঘুরিয়ে দেবেন এবং নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করবেন।
তারা মানুষকে উস্কে বলবেন, ‘আসুন আমরা এই সাবেক হিন্দু মন্দিরগুলি পুনরুদ্ধার করি যেখানে এখন মসজিদ রয়েছে সেখানে গিয়ে মন্দির খুঁজি’। রাজনের অভিযোগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সার্বিক ভাবে সমস্ত শ্রেনীর মানুষের মধ্যে সমানভাবে হচ্ছে না, যে কারণে ভারতের অর্থনীতি অগ্রসর হতে পারছেনা ভারতে দলিত সংখ্যালঘু মানুষের আর্থিক হাল অত্যন্ত খারাপ। সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে যদি একসঙ্গে দিয়ে উন্নয়ন করা না যায় তাহলে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পথ নেই বলে জানান রাজন।
মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারতে কর্ম ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ এর হার অত্যন্ত হতাশাজনক বিশ্বের সমস্ত দেশের তুলনায় ভারত একেবারে নীচের সারিতে রয়েছে এমনকি সৌদি আরবের চেয়েও ভারতের অবস্থা খারাপ। এর পরেই তিনি বলেন তার এই বক্তব্যের জন্য অনেকে হয়ত তার সমালোচনা করবেন তার কথা বিশ্বাস করবেন না কিন্তু তার সমালোচনা থেকেও এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যার সমাধান করা তা না হলে সার্বিকভাবে দেশের ক্ষতি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর রাজন যে বক্তব্য পেশ করেছেন তাদের একদিকে যেমন তিনি দেশের সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক অশান্তির জন্য ঘুরিয়ে ভাজপাকে দায়ী করেছেন তেমনি দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার জন্য তীব্র আক্রমণ করলেন মোদি সরকারকে।
পরিস্কার করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন করোনাকে ঢাল করে মোদি সরকার যে গা বাঁচানোর চেষ্টা করছে কাজেই আদতে ঠিক নয় দেশের অর্থনীতি তার আগে থেকেই বেহাল অবস্থায় ছিল সেটাই বোঝাতে চাইলেন রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর সরাসরি দায়ী করলেন মোদি সরকারের আর্থিক নীতিকে।