Last Updated on May 20, 2021 2:27 PM by Khabar365Din


৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি। একদিকে সিবিআই, আরেকদিকে পদ্মপাল। যেভাবেই হোক বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে বলে প্রমাণ করতে হবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে। তাহলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে হারের জ্বালা জড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাংলা চালানো যাবে। এটাই যেন এখন ভাজপার একমাত্র টার্গেট।
তাই ঠিক যে দিন সকালে অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন সিবিআই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল, প্রায় একই সময়ে দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টে ভাজপা ঘনিষ্ঠ আইনজীবী ঘনশ্যাম উপাধ্যায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বাংলায় অবিলম্বে নির্বাচিত সরকার ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানান।
ঘনশ্যাম উপাধ্যায়ের দাবি, ২ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বাংলায় ১৬ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই মামলায় অংশীদার হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং বাংলার নির্বাচিত সরকারের নাম দাখিল করেছেন মামলাকারী ঘনশ্যাম উপাধ্যায়।
ঘনশ্যাম-এর আবদার, কেন্দ্রকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আদালত যেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে ওই কমিটিকেই বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত, আজ সুপ্রিম কোর্টে ঘনশ্যাম উপাধ্যায়ের যে সমস্ত দাবি করেছেন এবং যে যে অভিযোগগুলো বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে করেছেন, অবিকল সেই সমস্ত অভিযোগ এবং দাবি নিয়ে গতকাল সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল ভাজপা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে বাংলার সরকারের কাছ থেকে সামগ্রিক ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। তবে আজকের ঘটনায় নতুনত্ব হল, এই প্রথম কোন রাজ্যের নির্বাচিত সরকার ভেঙে দিয়ে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার আবদার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলায় সরাসরি পার্টি করা হলো বাংলার পদ্মপালকে। তার সঙ্গেই স্পষ্ট হয়ে গেল পত্র পাল কে সামনে রেখে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রেমে পড়ার অজুহাত প্রমাণ করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের জন্য ভাজপার মিশন ৩৫৬!