Last Updated on August 31, 2021 10:52 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করলেন কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের প্রতিনিধিরা জানান, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। কেন্দ্র ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে। তবে এইবার প্রথম নয়, আগেও কেন্দ্রের তরফে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অনুমোদন মেলেনি। বৈঠকে হাজির থাকা বাংলার জল সম্পদ মন্ত্রী মানুষ ভূঁইয়া বলেন, কেন্দ্র তো আশ্বাস দিয়েছেন।কিন্তু না আঁচালে বিশ্বাস নেই।মন্ত্রী বললেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের কমিটি একাধিক বৈঠক করেছেন। ফিনান্স অ্যাপ্রুভ দিলেই হবে।১২৩৮ কোটি টাকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য প্রথমে কেন্দ্রের ৭৮ শতাংশ বরাদ্দ ও রাজ্যের ২২ শতাংশ বরাদ্দের দাবি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এখন শুনছি ওরা ৬০ শতাংশ দেবে।যদিও বন্যার হাত থেকে ঘাটালের সাধারণ মানুষকে দ্রুত বাঁচাতে আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রকল্পের ৫০ শতাংশ টাকা রাজ্য দেবে। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিনের বৈঠকে কেলেঘাই কপালেরসরি প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কেলেঘাই কপালেরসরি প্রকল্পের ১৭৮ কোটি টাকা দেওয়া হলেও বাকি ১২৭ কোটি টাকা এখন রাজ্য পায়নি বলে অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি এদিন দীঘা, সুন্দরবন মাস্টারপ্ল্যান নিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়। রাজ্যের কাছ থেকে এই দুই প্রকল্পের ডিপিআর চেয়েছে কেন্দ্র। এছাড়াও বর্ষার সময় রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে বারবার ডিভিসির জল ছাড়া নিয়েও অভিযোগ জানানো হয়েছে। এদিনের বৈঠকে রাজ্যের তরফে ছিলেন সুখেন্দু শেখর রায়,দেব, সৌমেন মহাপাত্র,মানস ভুঁইয়া, শিউলি সাহা,অজিত মাইতি, শ্রীকান্ত মাহাতো, হুমায়ুন কবীর ও জুন মালিয়া। প্রসঙ্গত, কদিন আগেই বন্যায় ভেসে গিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ঘাটালে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। জলে দাঁড়িয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানান। যদিও বহু বছর ধরেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অনুমোদনের দাবি জানানো হলেও মোদি সরকার কিংবা তার আগে কংগ্রেসের সরকার কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। ২০১১ সালে বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এবং পরবর্তীকালে ২০১৬ সালেও মাস্টার প্ল্যানের জন্য বারবার আবেদন জানানো হয়।