বাংলায় সরকারি চাকরিতে বাংলা জানতে হবে, বাংলার বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

0

Last Updated on December 8, 2021 10:39 PM by Khabar365Din

365 দিন। চাকরি  ক্ষেত্রে ভাষা নিয়ে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামের দুর্গাকিঙ্কর সদনে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে ‘‌কর্মসৃষ্টি’‌ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌কর্মসৃষ্টি যখন হয়, আমি সব রাজ্যের জন্য বলছি। সেই রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যেন চাকরিটা পায়। বাংলায় যারাই বসবাস করুক, বাংলা হতে পারে, রাজবংশি হতে পারে, কামতাপুরি হতে, আমার সেই ক্ষেত্রে আপত্তি নেই। বাংলা ভাষা তাঁকে জানতে হবে। বাংলায় তার ঠিকানা হতে হবে। সেরকমই বিহারের ক্ষেত্রে বিহারের লোকেদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। উত্তরপ্রদেশের ছেলেমেয়েরা উত্তরপ্রদেশে চাকরি পাবে। সব রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যেন কর্মসৃষ্টিতে চাকরি পায়। চাকরির জন্য অনেক রাজ্যে সর্ভিস কমিশন আছে। তারা চাকরিটা পায় নম্বরের ভিত্তিতে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কথা আমি বলছি না, রাজ্য সার্ভিস কমিশনের কথা আমি বলছি। সর্ব ভারতীয় চাকরির নিয়মটা হচ্ছে, সব রাজ্যের ছেলেমেয়েদের নেওয়া। রাজ্যে যেসব সার্ভিস কমিশন রয়েছে, কেউ ভাল করলে চাকরিটা সেই পেয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয় ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত থেকে যায়। তার কারণ, তার নম্বরটা ওর থেকে কম। যে যখন সরকারি কাজটা করছে, দেখা যায় স্থানীয় ভাষাটা জানে না। ফলে মানুষ যখন বিডিও অফিসে যায়, বা এসডিও-‌র কাছে যাচ্ছে, সে বাংলায় কথা বলছে, অথচ অফিসাররা বাংলাটাই বোঝে না। ফলে চিঠিটাও যেমন পড়তে পারছে না, না পারছে উত্তরটা দিতে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাষাটা জানা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌ছেলেমেয়েরা আরও ভাষা জানুক, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু যেখানে কাজ করবে, সেখানকার স্থানীয় ভাষা জানতে হবে। তানা হলে মানুষের সমস্যা শুনবে কী করে, সমাধানটাই করবে কী করে?‌’‌ পাশে বসে থাকা মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌এই বিষয়টি বৈঠক করে খতিয়ে দেখার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌স্থানীয় ভাষা না জানলে ব্লকে কাজ করা যাবে না। আগামী দিনে কর্মসৃষ্টিতে এটাই বেশি করে জোর দিতে হবে।’

বাংলার মানুষকে বাংলায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্যান্য রাজ্যে সেখানকার বাসিন্দারা চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান । তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষাভাষীরা নিজেদের রাজ্যে সুযোগ পাবেন না কেন। ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন, ঘোঁট পাকাবেন না। ঠিকঠাক প্রকল্পের রূপায়ণ করতে হবে। কাজে কোনওরকম দেরি করা যাবে না। ১-১০ জানুয়ারি এবং ২০-৩০ জানুয়ারি ফের দুয়ারে সরকার প্রকল্প। মাসে ২৭০ কোটি করে পোল্ট্রির ডিম বাইরে থেকে আসছে। ডিম উৎপাদনে আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে। তাতে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের মধ্যে প্রথম মালদায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডিম উৎপাদন কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। ৪০ একর জায়গার উপরে এই বড় মাপের বাণিজ্যিক পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এই খামারে প্রতিদিন তিন লক্ষ ডিম উৎপাদিত হবে। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিবে রাজ্য সরকারের এই পোল্টি ফার্ম । এখানে ১৬ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here