Last Updated on January 15, 2021 8:20 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বিশ্বভারতীর গেরুয়াকরণ করতেই হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে ভাজপাকে। সেই লক্ষ্যে একের পর এক নির্লজ্জ ভাবে অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে উপাচার্যের হামলার মুখে বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্র। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বরখাস্তের চিঠি ধরানো হয় সোমনাথ সৌ ও ফাল্গুনী পানকে। উপাচার্যের নির্দেশে এই দুই ছাত্রকে আগামী তিন মাসের জন্য বিশ্বভারতী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-র সমর্থনে সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের বক্তৃতার মতো সব ঘটনায় পড়ুয়াদের নিয়ে প্রতিবাদে সামিল ছিল এই দুই পড়ুয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শান্তিনিকেতন সফরের আগে এই দুই পড়ুয়ার নেতৃত্বে ছাত্ররা এই সফরের প্রতিবাদ করে। দাহ করা হয় শাহের কুশপুতুলও। ফলে সফরের দিন হাউস আরেস্ট করা হয় দুজনকেই।
তবে ভাজপা এবং আরএসএস এর নির্দেশে বর্তমান উপাচার্য বিশ্বভারতীতে গেরুয়া করনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করার পরে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে যেভাবে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ নিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে দেশের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ৫৬১ শিক্ষাবিদ বিশ্বভারতীরএই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ টিচার্স অর্গানাইজেশন এবং ফেডারেশন অফ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিস টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও বিশ্বভারতীর ওই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,বিশ্বভারতীতে কালোমেঘ নেমে এসেছে। বড় রকমের ঝড়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে। সর্বস্তরের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। বিশ্বভারতীর দুই ছাত্রের উপর অন্যায় ভাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যে শাস্তির খাড়া নামিয়েছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক সুবোধ মিত্র বলেন, জেএনইউ-এ ছাএছাএীদের ওপর যেভাবে আরএসএস মদতে উপাচার্য অন্যায় অত্যাচার করে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলো, বিশ্বভারতীর দুই ছাত্রকে শাস্তি দিয়ে সেই ভয়ের বার্তা দিতে চাইলো উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কিন্তু ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় কোন রাষ্ট্রশক্তি কখনো দমিয়ে রাখতে পারেনি ভবিষ্যতেও পারবে না।