বাংলার বরাদ্দ আটকানোর প্রতিবাদে, অভিষেকের ঘোষণা ২১ অক্টোবর দিল্লি চলো

0

Last Updated on July 21, 2023 9:12 PM by Khabar365Din

৩৬৫দিন। গত ২ মাস ধরে গোটা বাংলায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে জানিয়েছিলাম পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আমরা ‘দিল্লি চলো’ যা। বাংলার বকেয়া ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা ওরা আটকে রেখেছে। এই টাকা আদায় করতে যতদূর লড়াই করতে হয় আমরা করব। আপনাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার। আপনাদের সঙ্গে ট্রেনে করে আমিও দিল্লি যাব।আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিন আমরা দিল্লি যাব। ওখানে কৃষি ভবনের ঘেরাও করব। যতদিন না ওরা আমাদের বকেয়া টাকা ফেরত দেবে । আন্দোলন জারি থাকবে। ওরা যেখানে আটকাবে সেখান থেকেই দিল্লি পর্যন্ত আওয়াজ যাবে।আমাদের কাছে তিনটে রাস্তা ছিল এক হচ্ছে বাবাবাছা করে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলা।

গরিব মানুষের টাকা আটকে রাখবেন না এই টাকা আপনাদের ছাড়তে হবে। দ্বিতীয় রাস্তায় এদের পায়ে ধরা আর তৃতীয় রাস্তা হল দিল্লি চলো ডাক দিয়ে নিজের অধিকারের টাকা ছিনিয়ে আনা। আপনারা কোনটা চান? একুশে জুলাই এর শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকেই বাংলার ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ছিনিয়ে আনতে গান্ধীজীর জন্মজয়ন্তীতে দিল্লি চলোর ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাড়ে ১২ টা নাগাদ ধর্মতলায় একুশে জুলাই এর মঞ্চে আসেন অভিষেক। শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে মূল মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। আগামী দিনে ভাজপা বিরোধী আন্দোলন কোনো পথে তারও ঘোষনা করেন তিনি।

ভাজপা নেতাদের বাড়ি ঘেরাও

দিল্লি চলো ডাক দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকেই সমস্ত তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থকদের নির্দেশ দেন, শান্তিপূর্ণভাবে এলাকার ভাজপা নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করতে। অভিষেক বলেন,আপনার এলাকায় যেখানে যত বিজেপি নেতা রয়েছে তার তালিকা তৈরি করুন। আগামী ৫ অগাস্ট বুথে বুথে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করবেন। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করা হবে বিজেপির নেতাদের বাড়ি। ৮ আধ ঘন্টা ঘেরাও করুন। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। তবে শান্তিপূর্ণভাবে শৃঙ্খলা মেনে ঘেরাও করবেন। বাড়িতে বয়স্ক লোক থাকলে তাদের ছেড়ে দিন। যদিও অভিষেকের এই ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী এই ঘেরাও কর্মসূচির সামান্য কিছু পরিবর্তন করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, বুথে নয়, ব্লক স্তরে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করতে হবে। কিন্তু ১০০ মিটার দূর থেকে। যাতে কারোর কোনো সমস্যা না হয়।

ভারতীয় জুমলা পার্টির ৩০ শতাংশ ভোট কমেছে

পঞ্চায়েত ভোটে ভাজপার ভরাডুবি নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন,
২ দুমাস ধরে নব জোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে যাবার চেষ্টা করেছি। মানুষ যাদেরকে সার্টিফিকেট দিয়েছে তাদেরকেই আমরা প্রার্থী করেছিলাম। ব্লক, জেলা, রাজ্য নেতাদের কথায় তৃণমূল এবার প্রার্থী দেয়নি।
বিজেপি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তৃণমূল পেয়েছিল ৪৮ শতাংশ ভোট। ১০ শতাংশের ব্যবধান ছিল। এই এক বছরে অনেক ঘাত প্রতি ঘাতের মধ্যে দিয়ে গেছে তৃণমূল। আরো শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল। আমি বলে ছিলাম এই ১০ শতাংশের ব্যবধান বেড়ে ১৫ শতাংশ হবে। কিন্তু ব্যবধান ১০ কিংবা ১৫ শতাংশের নয় ব্যবধান ৩০ শতাংশের তৃণমূল এককভাবে লড়াই করে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর ভারতীয় জুমলা পার্টি ২২ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মানুষ টেনে রাস্তায় এনে ফেলবে

এজেন্সি ব্যবহার করে দেশকে বিরোধী শূন্য করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন ডায়মন্ডহারবারে সংসদ। তার দাবি,বিজেপির কাছে ইডি,সিবিআই, আইটি আছে। কিন্তু মানুষ নেই। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ আছে। জনতা শেষ কথা জনতা এই জনার্ধন যদি সাধারণ মানুষ চায় যারা প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে ছিল তাদেরকেই আবার আকাশ থেকে টেনে এনে রাস্তায় নামিয়ে তাদের অহংকারকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবে। তৃণমূল কংগ্রেসকে যত তাতাবে তত শক্তিশালী হবে। মারবি যত বারব তত, ফুটবে তত ফুল। লক্ষ্যতে স্থির তৃণমূল।
জিতবে ইন্ডিয়া হারবে এন ডিএ
একুশে জুলাই এর শহীদ মঞ্চ থেকে ২৬ ভাজপা বিরোধী দলের জোট ইন্ডিয়া নিয়ে বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন,দেশ থেকে আওয়াজ উঠেছে আগামী ২৪ শে জিতবে কে ?ইন্ডিয়া ছাড়া আবার কে। আজকের জনগণের উচ্ছ্বাস দেখে আমার ২০১০ সালের ২১ জুলাইয়ের মনে পড়ে যাচ্ছে। সেই দিন একটাই আওয়াজ উঠেছিল ২০১১ সালে সিপিএমের বিদায়। আজকেও আকাশে বাতাসে জয়ধ্বনি উঠছে ২০২৪ সালে জিতবে ইন্ডিয়া।