Last Updated on August 13, 2023 7:21 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। রানাঘাটে স্বপ্নদ্বীপের মামার বাড়িতে এলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের এডভাইজার অনন্যা চক্রবর্তী।এদিকে তার আগে শনিবার রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যর কাছে রিপোর্ট এর অনুরোধ করেছে।চিঠি পাঠানো হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও।তাছাড়াও রবিবার সকাল ১১নাগাদ রানাঘাট থানায় প্রথমে আসেন অনন্যা চক্রবর্তী। সেখানে পুলিশের সঙ্গে আধঘন্টা কথাবার্তা বলে স্বপ্নদ্বীপের মামার বাড়িতে আসেন। সেখানে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলেন তাকে সান্তনা দেন। এরপর আলাদা ভাবে কথা বলেন তার বাবার সাথে ও পরিবারের সাথে।এরপর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান , অনেকেরই হয়তো জানা নেই ওই ছাত্র নাবালক। তাই পকসো আইন বলবৎ হতে চলেছে।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা প্রত্যেকেই সাবালক সেই কারণে কুড়ি বছর জেল এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তিনি বলেন, পরিবারের সূত্রে জানা গেছে মৃতদেহ দাহ করার আগে ঘি মাখানোর সময় তারা লক্ষ্য করেছেন, শরীরের একাধিক অংশে সিগারেটের ছ্যাঁকা রয়েছে। বিবস্ত্র হওয়ার কারণ হিসেবে যৌন নির্যাতন হতে পারে ওই নাবালকের সাথে। আজ তারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছেন সেখানে ভাইস চ্যান্সেলর না থাকার কারণে চ্যান্সারের কাছ থেকে এবং পুলিশের কাছেও যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করবেন তারা, নিজেরাও স্বচক্ষে ঘুরে দেখবেন গোটা বিষয়টি।
কোন রেজিস্টার্ড মেন্টেইন, হওয়া সিসি ক্যামেরা না থাকা, এবং বহিরাগতদের দাদাগিরি কি কারণে সে সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখবেন। তবে বিষয়টি হাল ছাড়বেন না তারা, সমাজের এই কু প্রথার বিরুদ্ধে বড়সড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে তারা আইনের কাছে সুপারিশ জানাবেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সব কিছুই মানা হয়নি। কেন ইউজিসি-র নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে না? ক্যামেরা থাকলেই যদি নীতি পুলিশগিরি হয় তাহলে এটিএম, হাসপাতালে কেন ক্যামেরা থাকে! সিসিটিভি না থাকার জন্যেই বহিরাগতদের এত দাপট, কি করছে কর্তৃপক্ষ? কেউ দায় এড়াতে পারবে না, প্রত্যেকের শাস্তি হবে, শেষ দেখে ছাড়ব।