Last Updated on September 15, 2023 7:20 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত জুটা প্রভাবিত অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ভাঙতে বাধ্য হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তৈরি করা হল নতুন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন অ্যান্টি রেকিং কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কমিটিতে রয়েছেন উপাচার্য, সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন অফ স্টুডেন্টসসহ মোট ৩৩ জন সদস্য। তার মধ্যেই রয়েছেন, যাদবপুর এবং বিধাননগর দক্ষিণ থানার ওসি।এছাড়াও কমিটিতে ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদেরও রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যেক সদস্য ই- মেইল আইডি ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে।
র্যাগিং ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হস্টেলগুলিতে ওই কমিটি সক্রিয় থাকবে তাতে প্রত্যেক সদস্য ই- মেইল আইডি ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। র্যাগিং এর ওপর নজরদারি করতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হস্টেলগুলিতে ওই কমিটি সক্রিয় থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড থাকা বাধ্যতামূলক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর পর থেকেই অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি নিয়ে বড়সর প্রশ্ন উঠে যায়। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি থাকা সত্বেও কি করে যাদবপুরের মাওমাকুরা হস্টেল ও ক্যাম্পাসের ভিতরে র্যাগিং চক্র চালিয়ে গিয়েছে? অভিযোগ, সিপিএমের অধ্যাপক সংগঠন জুটার দ্বারা প্রভাবিত ছিল অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। গত কয়েক বছরে ক্যাম্পাসে বহুবার র্যাগিং এর ঘটনার অভিযোগ জমা পড়েছিল ওই কমিটির কাছে।
কিন্তু র্যাগিং অভিযুক্তদের তালিকায় মাওমাকুদের নাম থাকায়, সমস্ত র্যাগিং এর ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে দেয় সিপিএমের অধ্যাপক সংগঠন জুটা। কখনো অভিযোগকারী ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে আবার কখনো মার্কসবাদী ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করিয়ে দেওয়া হতো। তবে নতুন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তৈরি হওয়ার পর এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে আগের কমিটি পক্ষপাতদুষ্ট ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তার জন্যই সিপিএমের অধ্যাপক সংগঠন দ্বারা পরিচালিত অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ভেঙে ফেলা হল। এদিকে, বৃহস্পতিবারই যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনে উপাচার্যর ঘরের বাইরে সিসিটিভি লাগানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হোস্টেলের নির্দিষ্ট কিছু স্ট্রাটেজিক পয়েন্ট মিলিয়ে মোট ২৬ টি জায়গায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসলেও এখনও পর্যন্ত হস্টেলের করিডরে ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।