Last Updated on August 24, 2023 6:40 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র সিসিটিভি বসছে না। এমনকি হস্টেলও সেই সিসিটিভি মুক্তই থাকছে। যদিও লোক দেখাতে জুটা ও মার্কসবাদী ইউনিয়নের বাছাই করা কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় ক্যামেরা বসানো হতে পারে। ১৭ বছর বয়সি ছাত্রের খুনের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিসিটিভিতে এত অনিহা কেন?
সূত্রের খবর, যাদবপুরে মাওমাকুদের মুক্তাঞ্চলকে বাঁচিয়ে রাখতে সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন জুটা’র ( যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন) চাপে পড়ে
হস্টেলে সিসিটিভি লাগানোর মতো পদক্ষেপ নিতে পারলেন না আচার্য সিভি আনন্দ বোসের নিয়োগ করা কেয়ারটেকার উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। উপাচার্য এখন জুটার কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।যাদবপুরের সিপিএমের অধ্যাপক, বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের কথা মতোই চলছেন তিনি। ফলে পুলিশ আদালত কিংবা ইউজিসি যেই বলুক না কেন, অদূর ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক প্লেসে যে সিসিটিভি ক্যামারে লাগানো হবে না তা কার্যত পরিষ্কার।
প্রথম বর্ষের ছাত্র হত্যার ঘটনার পর থেকে সিসিটিভি না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। তাই আপাত নিজেদের ‘ সক্রিয়’ কর্তৃপক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে পরিকল্পনামাফিক ক্যাম্পাসের কিছু বাছাই করা জায়গায় ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেখানে পড়ুয়াদের অসামাজিক কার্যকলাপ কিংবা রায়াগিং এর মতো ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়বে না, সেইসব জায়গাকেই সিসিটিভি লাগানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। যেমন প্রশাসনিক দপ্তর অরবিন্দ ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় ও হস্টেলের গেট। ২০১০ সালের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে কয়েকটি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। কিছু দিনের মধ্যেই পরিকল্পনা করেই রাতের অন্ধকারে সব ক্যামেরা খুলে ফেলা হয়েছিল। আবারও সেইসব ক্যামেরাকেই ধুয়ে মুছে সাফ করে লাগানো হবে। জানা গিয়েছে, এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে মোট ১১ জায়গায় সিসিটিভি বসানো হবে। কিন্তু সর্বত্র সিসিটিভি লাগানো হল না কেন? উপাচার্য কে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেয়ারটেকার উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, আমি তো আর সিসিটিভি বসাতে পারব না। বসানোর সিদ্ধান্ত যখন হয়েছে, বসানো হবে। এই কাজে সময় লাগবে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলি গেট আছে। হোস্টেলের সামনেও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। বলা হবে যত দ্রুত সম্ভব বসাতে।আগে একটা প্ল্যান হয়েছিল। সেই জায়গাগুলো স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট হিসাবে ধরা হয়েছিল। আপাতত সে সব জায়গায় সিসিটিভি বসানো হবে। তারপর দেখা যাবে কোথায় কী আছে।সব কিছু তো আর চুটকিতে হয় না। এতদিন তো যা যা হয়ে এসেছে, এখন আমি এসে একটা চুটকি মারব, আর সব ঠিক হয়ে যাবে, তা তো নয়। এখন দেখতে হবে সবটাই।
সত্যব্রত মারাত্মক, কোয়াটারের আবাসিকদের মদের বোতল ছুড়ত
যাদবপুর কাণ্ডে তদন্তে নেমে পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও অভিযোগ পেলো ।এদিন একটি তদন্তকারী দল হোস্টেলের আশেপাশে পোদ্দারনগরের দিকে গিয়ে খোঁজখবর নেয়।সেখানে একাধিক বাইন্ডার অভিযোগ করে যে রাতের দিকে হোটেলের চিলেকোঠার ছাদে মদ খেয়ে বোতল ছুড়ে ফেলা হতো তাদের বাড়ির দিকে ।এছাড়াও বাড়ির মহিলাদের সহ অন্যান্যদের লক্ষ্য করে উড়ে আসতো অশ্লীল মন্তব্য ।এদের মধ্যে অধিকাংশ বাসিন্দারাই ধৃত সৌরভ ও সত্যব্রতর দিকে আঙ্গুল তোলেন ।এমনকি তারা এই দুজনকে সনাক্তও করেন ছবি দেখে । এছাড়াও হোস্টেলের সামনেই উচ্চস্বরে জোর হয়ে ( যা জিবি বলে পরিচিত ) মাঝে মধ্যেই চিৎকার চেঁচামেচি করতো বলে তারা জানিয়েছেন ।ফলে এর আগেই নিজেদের মেধাবী ছাত্র বলে পরিচয় দিয়ে ধৃতদের যে সহানুভূতি কুড়োনোর চেষ্টা ছিল তা তাদের এই অভব্য আচরণের সঙ্গে মোটেই মিলছে না বলে দাবি তদন্তকারীদের । এদিকে, ছাত্র হত্যা রহস্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে যাদবপুরের নকশাল পন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা আলু ওরফে অরিত্র মজুমদারকে। তার গতিবিধি নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটিও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।