Last Updated on December 11, 2020 11:09 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয় বিশৃংখলার অভিযােগে বাংলার মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে কেন্দ্রের তরফে তলব করা ভারতীয় ফুরাষ্ট্রীয় কাঠামাে নজিরবিহীন এবং সংবিধানসম্মত নয়। কেন্দ্রীয় কোন অফিসারের কোনাে রকম এচিয়ারই নেই রাজ্যের মুখ্য সচিব অথবা ডিজিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ডেকে পাঠানাের। আইন শৃঙ্খলা বিষয়টা ভারতের সংবিধানের সপ্তম তপশিলে রাজ্য তালিকায় রয়েছে। এটা রাজ্যের বিষয়, কেন্দ্রের নয়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজ্য সরকার শুধু রাজ্য বিধানসভাতেই বাধ্য, অন্য কারাে কাছে নয়। সাংবিধানিক এক্তিয়ার তুলে ধরে নাড়া কান্ডে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজিকে ডেকে পাঠানাে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাংবিধানিক অধিকার নেই বলে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, এটা সম্পূর্ণভাবে ফেডারেল স্ট্রাকচারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছে। তাঁর চ্যালেঞ্জ, কোন আইনে ডিজি ও মুখ্যসচিবকে তলব করা হয়েছে তা জানাক কেন্দ্রীয় সরকার।এদিন কল্যাণবাবু বলেন, গতকাল জেপি নাড্ডাকে বুলেট প্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কনভয়ের আগে ছিল এসকর্ট। রাজ্য পুলিশের তরফে এসকর্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অর্থাৎ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।দুষ্কৃতীরা বাইক এবং মিনিবাসে করে বিজেপির কনভয়ে ছিল বলে যে রিপাের্ট উঠে এসেছে এ দিন দলের তরফেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোেগ, নাড্ডার কনভয়ের সামনে অন্তত ৫০টি গাড়ি ছিল। গাড়ি ছিল পিছনেও। সঙ্গে ছিল প্রায় ৪০টি মােটরসাইকেল। একজন জেড শ্রেণির নিরাপা প্রাপকের কনভয়ের সামনে পিছনে অন্য কোনও গাড়ি থাকতে পারে না। অর্থাৎ নাড্ডা বেআইনি কাজ করেছেন। একই সঙ্গে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে প্ররােচনা দেওয়ার জন্য দায়ী করে বলেন, রাকেশ সিং নামে এক ব্যি তৃণমূলের মঞ্চের সামনে গাড়ির দরজা খুলে প্ররােচনামূলক অঙ্গভঙ্গি করেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫৯টি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই ধরনের একজন দুষ্কৃতী নাড্ডার কনভয়ে কী করছিলেন ? কল্যাণবাবু জানান, ইতিমধ্যে রাকেশ সিং সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্ররােচনা দেওয়ার অভিযােগে মামলা রুজু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশ।

৩৬৫ দিন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে এবং হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজ্য প্রশাসন। তাই ডিজি ও মুখ্য সচিবকে হাজিরা দেওয়ার জন্য যে তলব করেছিলেন, তা থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।কইসঙ্গে, রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাকে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার জেপি নাড্ডার কনভয়ে প্রচুর বাইরের গাড়ি ছিল। একজন জেড ক্যাটেগরি নিরাপত্তাধারীর কনভয়ে যা থাকতে পারে না। নাড্ডার কনভয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকার অভিযােগ উড়িয়ে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং পাইলট কার দেওয়া হয়েছিল। ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ নিজে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি রাজ্যের তরফে নিরাপত্তার জন্য মােতায়েন ছিলেন ৪ এসপি, ৮ ডিসপি এবং ১৪ জন ইন্সপেক্টর। ছিলেন ৭০ জন এসআই ও এসআই, ৪০ জন রাফ জওয়ান। ২৫৯ জন কনস্টেবল, ৩৫০ জনের সাহায্যকারী বাহিনী ছিল।

৩৬৫ দিন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড়ার গাড়িতে হামলাকে ইস্যু করে বিজেপির একদল দুষ্কৃতী দিল্লিতে বঙ্গভবন ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলা চালায় সেই ঘটনারও এদিন তীব্র নিন্দা জানানাে হয় তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে। সাংসদ সৌগত রায় ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এদিন বলেন, দিল্লিতে যেভাবে হামলা চালানাে হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি এটা ভিতুদের রাস্তা।প্রসঙ্গত গতকাল দিল্লিতে বঙ্গভবন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ আবাস এবং সংলগ্ন তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় হামলা চালায় একদল উগ্র বিজেপি সমর্থক। ডেট পেরিয়ে ঢুকতে না পারলেও কালী ছােড়ে অকথ্য গালাগাল করতে থাকে বিজেপির পাঠানাে গুন্ডাবাহিনী। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীকে খবর দেওয়ার পরে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নেতারা যাবেন তাদের উপর হামলা চালানাে হবে।