৩৬৫ দিন। জলমগ্ন রাস্তায় লাইট পোস্টে হাত দেওয়া নিষেধ। তার থেকেও বড় কথা জলমগ্ন রাস্তায় হাঁটা প্রায় নিষিদ্ধ সমান। যতক্ষণ না জল নামছে, খুব প্রয়োজন না পড়লে, জল ভগ্ন রাস্তায় হাঁটা যাবে না। জলমগ্ন রাস্তায় যে সকল লাইট পোস্ট আছে, সেগুলির লাইট বন্ধ থাকবে। ইলেকট্রিক লাইট পোস্টের কারেন্ট থেকে দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যু ঠেকাতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুরসভার।
মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার আলো বিভাগের মেয়র পরিষদ সন্দীপ বক্সী বলেন, কোনভাবেই ইলেকট্রিক তার ছুঁয়ে বা ইলেকট্রিক ছুঁয়ে যেন কারুর মৃত্যু না হয় সেদিকে আমাদের কঠোর দৃষ্টি রয়েছে। পুরসভা কতগুলো গাইডলাইন করে দিয়েছে। এই গাইডলাইনগুলো মেনে চললে, এই বর্ষাকালে ইলেকট্রিক পোস্ট ছুঁয়ে মৃত্যু আটকানো সম্ভব।
অন্যদিকে ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফৈয়াজ আহমেদ খান তার এলাকার জমা জল বা অন্য কোন সমস্যার জন্য একটি টোল ফ্রি নাম্বার এর ব্যবস্থা করেছেন। ৯৮৩০৪২২৪৩৫ এই নাম্বারে ফৈয়াজ আহমেদ খানকে ফোন করে তপসিয়া বা টেংরা এলাকার মানুষ জল জমা সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন।
ইলেকট্রিক বক্স ভাঙা বা খোলা থাকলে, শর্ট সার্কিট এর সমস্যা হলে, এলাকায় স্থায়ীভাবে (বেশ কিছুক্ষণ ধরে) জল জমে থাকলে, পানীয় জলের সমস্যা হলে এই নাম্বারে টেলিফোন করে অভাব অভিযোগ জানাতে পারবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, নারকেলডাঙ্গা হরিদেবপুর এর মতো ঘটনার পর ইলেকট্রিকের পোস্ট ছুঁয়ে তার থেকে যেন কারোর মৃত্যু না ঘটে, সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ইলেকট্রিকের তার ছুঁয়ে কেন কয়েকজনের প্রাণ চলে গেল, সে বিষয়ে এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে কলকাতা পুরসভা।