Last Updated on February 16, 2022 11:21 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়ার মধ্যে দিয়ে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandhya Mukhopadhyay) শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। মঙ্গলবার কোচবিহারে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেখানেই গীতশ্রীর (Geetashree) মৃত্যুর খবর পৌঁছায় মমতার কাছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, বুধবারে কোচবিহারের সরকারি অনুষ্ঠান কাটছাঁট করে, কলকাতায় পৌঁছাবেন তিনি। সেইমতো বুধবারের কোচবিহারের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করে, বিকেল চারটের একটু আগে রবীন্দ্রসদনে (Rabindra Sadan) এসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, মঙ্গলবার রাতে পিস হাভেনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ থাকার পর, বুধবার বেলা বারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গীতশ্রীর মরদেহ রবীন্দ্র সদনে শায়িত ছিল। মাঝে রাজ্য সংগীত একাডেমিতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ খানিকক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক বিকেল চারটের একটু আগে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদন পৌঁছে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
ততক্ষণে রবীন্দ্রসদনে হাজির হয়েছেন, ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মালা রায় সহ গীতশ্রীর পরিবারের লোকেরা। মমতা আসেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মাথার সামনে খানিকক্ষণ চুপ করে দাঁড়ান, কথা বলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ের সঙ্গে। তারপর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ শেষবারের মতো বাংলার উত্তরীয় পরিয়ে দেন মমতা। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে (Keoratala Burning Ghat) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য (Last Rites)সম্পন্ন হবে-তার খোঁজ খবর নেন। প্রসঙ্গত, গতকাল শেষ রাতে মৃত্যু হয় সুরকার বাপ্পি লাহিড়ীর (Bappi Lahiri)। নন্দন চত্বরের একতারা মঞ্চ প্রাঙ্গণে, বাপ্পি লাহিড়ীর প্রতিকৃতিতে সাধারণ মানুষ যেন মাল্যদান করতে পারে তার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। রবীন্দ্র সদন থেকে বেরিয়ে বাপ্পি লাহিড়ীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং ফের রবীন্দ্রসদনে ফিরে আসেন।

এর পরেই শুরু হয় শেষ যাত্রা। শেষ যাত্রায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃতদেহ নিয়ে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের পথে শুরু হয় যাত্রা। চারদিক থেকে বেজে উঠেছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া একের পর এক স্বর্ণ আমলের গান, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জাদু ভরা গলার গান। শেষ যাত্রায় রবীন্দ্র সদন থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশান পর্যন্ত পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী সহ বিশিষ্টজনেরা। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির লোক, অরূপ বিশ্বাস, মালা রায়, দেবাশীষ কুমার এবং স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুরো শেষ যাত্রাটি তদারকি করলেন। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে এর পরেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহকে গান স্যালুট (Gun Salute) দেওয়া হয়। সেই সময় কেওড়াতলা মহাশ্মশান জুড়ে বেজে চলেছে, আমায় চিরদিনের সেই গান বলে দাও। এভাবেই সম্পন্ন হল গীতশ্রী শেষকৃত্য, থেকে গেল অজস্র গানের সম্ভার, বাঙালির ঐতিহ্য।