Last Updated on June 17, 2022 10:28 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। শূন্য হাতেই আষাঢ় এল। এমনিতেই দেরী! তার উপর বারংবার দেওয়া পূর্বাভাস থেকে পিছিয়েই যাচ্ছে ক্রমশ। কিন্তু, দক্ষিণে এত মন্থর কেন? চলতি সপ্তাহেই কি আদৌ বর্ষা ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে?আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঠিকই। তবে, শুরুতে কোনরকম জোরালো ভূমিকা দেখাতে পারবে না মৌসুমী বায়ু।
কারণ, বঙ্গোপসাগরের উপর কোন নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণাবর্ত নেই। ফলে, কিছুটা ধিলেমির সঙ্গেই আগমন ঘটবে বর্ষার। তাঁদের বক্তব্য, চলতি সপ্তাহে প্রবেশের তার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। খুব ভারী বৃষ্টি হবে না। তবে, তাপমাত্রা মোটের উপর কিছুটা কমই থাকবে। ফলে, স্বস্তি বজায় থাকবে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, আরব সাগর, তেলেঙ্গানা, ছত্রিশগড়, দক্ষিণ ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অংশে, বঙ্গোপসাগরের কিছু জায়গায় প্রবেশ করেছে বর্ষা।
আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে আরব সাগর, মধ্য প্রদেশ, গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ, বঙ্গোপসাগর, ছত্রিশগড়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরবঙ্গের বাকি অংশ, বিহার, উত্তর প্রদেশ প্রবেশ করবে। এদিকে, উত্তরবঙ্গে চলবে অতি ভারী বর্ষণ। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব থেকে পশ্চিমে, উত্তর প্রদেশ থেকে মনিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। যেটি বিহারের মধ্যভাগ, উত্তরবঙ্গ, সিকিম, অসমের উপর দিয়ে গিয়েছে।
আর তার জেরেই বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এই কারণেই ১৪ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে। ১৭ তারিখ লাল সতর্কতা থাকছে মূলত কুচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলায়। উত্তরের বাকি জেলায় অতি ভারী বর্ষণ।
১৮ এবং ১৯ তারিখ পাহাড়ি জেলার সঙ্গে বৃষ্টি হবে দুই দিনাজপুরে। অতি বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে দফতরের তরফে। যেখানে বলা হয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির কারণে ধস নামতে পারে। তিস্তা, তোর্ষা, জলঢাকা সহ অন্যান্য নদীতে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা।
বৃষ্টিতে চাষবাস, সবজির ক্ষতির সম্ভাবনা। অপেক্ষাকৃত নীচু জায়গা জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা। একইসঙ্গে পরপক্ক সবজি কেটে নেওয়া, মাঠে জল বেরোনোর জন্যে ড্রেনের ব্যবস্থা করার কথাই বলা হয়েছে।