লেবু-বাজার! চেন্নাইয়ের লেবু বাজারে ঢুকতেই মহার্ঘ্য পাতিলেবু বিকোচ্ছে জলের দরে

0

৩৬৫ দিন। লেবু-বাজার! থরে থরে ডালায় সাজানো পাতিলেবু। প্রতি পিস মাত্র ২ টা। এক সময়ের মহার্ঘ্য পাতিলেবু এখন বিকোচ্ছে জলের দরে। ১০ টাকা থেকে সোজা ২ টাকা? কিন্তু, কিভাবে?

এই নিয়ে শিয়ালদহ বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, ম্যাড্রাস থেকেই প্রচুর পরিমাণে পাতিলেবু ঢুকছে বাজারে। সেই প্রচুর যোগানের কারণেই দাম এত কমে গিয়েছে। রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, মোট চাহিদার ২০ শতাংশ লেবু উৎপাদন হয় রাজ্যে। বাকি ৮০ শতাংশের যোগান দেয় চেন্নাই।

কিন্তু, চলতি মরশুমে বন্যার কারণে সেখানে ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে ফসল। ফলে, কিছুদিন আগে সেখান থেকে আসা লেবুর যোগান অনেকটাই কমে যায়। ফলস্বরূপ কলকাতার বাজারে বাড়তে শুরু করে লেবুর দর। এখন সেই যোগান কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। যে কারণে দাম পড়ছে।

তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের সারা বছর ধরেই লেবুর যোগান দেয় চেন্নাই। এ রাজ্যে মোটামুটি কমবেশি সব জেলাতেই উৎপাদন হয় লেবু। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বেশিরভাগ গন্ধরাজ লেবু।

এই প্রসঙ্গে হগ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাউ জানান, রাজ্যে মোট যোগানের অর্ধেকের বেশী আসে বাইরে থেকে। মাঝে সেই যোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার ফলেই দাম বেড়ে গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পাতিলেবুর সংকট মেটাচ্ছিল কাগজি এবং গন্ধরাজ লেবু। দাম তুলনামূলক কম ছিল সেই সময়। দামের ঠেলায় মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন মেনুতে পাতিলেবুর বদলে জায়গা নিয়েছিল কাগজি লেবু, গোড়া লেবু।

অন্যদিকে, সস্তায় লেবু কিনতে ভিড় জমান শহরের খুচরো ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পথচলতি সাধারণ মানুষ কিংবা নিত্যযাত্রী, সকলেই। এক ব্যবসায়ী জানান, অনেকেই কিনছেন। বিক্রি ভালই হচ্ছে। মানুষের মধ্যে লেবুর চাহিদা থাকে সবসমই।

তবে, গরমের সময় তুলনামূলক বাড়ে। এখনও চাহিদা রয়েছে। তবে, কিছুটা হলেও কম। যোগান বেশি, চাহিদা কম, সেটাও দাম কমার অন্যতম কারণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here