Last Updated on December 9, 2020 8:53 PM by Khabar365Din
বিজেপি-আরএসএস বাইরে থেকে গুন্ডা আনছে
৩৬৫ দিন। গোপালনগর। বিজেপির কাজ হচ্ছে বাংলা থেকে বাঙ্গালিদের তাড়িয়ে রাজ্যটাকে গুজরাত বানাও। কিন্ত আমরা বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেবো না। সিপিএমের হার্মাদরা আজ বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে। বাইরে থেকে আরএসএস এবং গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আসছে বিজেপি। বহিরাগতরা পাড়ায় ঢুকলে আপনারা জোট বেঁধে বাধা দিন। বহিরাগতরা এলাকায় ঢুকে পড়লে দরকারে থানায় এফআইআর করুন। আর থানা এফআইআর না নিলে স্থানীয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে জানান। লড়াই করলে গণতন্ত্রের পথে করো।
বাম-রাম আঁতাত প্রসঙ্গে
বাংলায় বাম রামের জোট নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ওরা তৃণমূলকে খামচাচ্ছে, রাম চিমটি কাটছে, গোবর্ধন চিমটি কাটছে। কিন্ত তৃণমূল ভদ্র দল। মানুষ আছে সঙ্গে, তাই তৃণমূল থাকবে বঙ্গে। আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। কথা না রাখতে পারলে আমার মৃত্যু হওয়া উচিত।
নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে
উদ্বাস্তু অধ্যুষিত বনগাঁয় আজ কার্যত খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মমতা বলেন, সিএএ করে প্রতারণার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের উদ্বাস্তু কলোনিগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছি। রাজ্যে এনআরসি-এনপিআর করতে দেব না। মতুয়ারা সবাই এ দেশের নাগরিক। নতুন করে তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণের কোন দরকার নেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব আমার, জানালেন।
মতুয়াদের উন্নয়নে মমতা
মতুয়া সম্প্রদায়ের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথি উপলক্ষ্যে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষনা করা হবে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে। পাঠ্যপুস্তকে হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মতুয়া বোর্ডের উন্নয়নের জন্য ১০ কোটি টাকাও দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কারো কথা না শুনে গোটা দেশের কৃষক সমাজের স্বার্থ বিঘ্নিত করে কর্পোরেট সংস্থার হাতে কৃষকদের ভবিষ্যৎ তুলে দিতে তিনটে কালাকানুন পাশ করিয়েছে।