মমতার হুঁশিয়ারি, নন্দীগ্রামের মতো ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলছে, ভারতকে তালিবান কিংবা পাকিস্তান হতে দেবো না

0

Last Updated on September 16, 2021 10:54 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছে, ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলছে। বিজেপির যে কায়দা, সেটা আমার পছন্দ নয়। আমি মসজিদে গেলে সেটা বিজেপির পছন্দ নয়। আমি মসজিদে গিয়েছিলাম বলে, বিজেপি কটাক্ষ করছে। গতকাল তো আমি ভবানীপুর গুরুদুয়ারায় গিয়েছিলাম। আমি তো প্রতিবছর কালী পুজো করি। আমি কালী পুজো করলে অথবা গুরুদুয়ারায় গেলে তাতে বিজেপির কোন আপত্তি নেই। আমি তো গণেশ পুজো করি। তখন ওদের কোন আপত্তি নেই। যে যার ধর্ম, তাই করুন। এটা মনে রাখতে হবে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি আপনাদের রক্ষা করব। পুজোর মতো ছটেও ছুটি থাকে। আমি মায়াপুরে জমি দিয়েছি। সেখানে পর্যটনস্থল হবে। মন্দির হবে। এভাবেই কয়েকদিন আগে ইকবালপুরের মসজিদে জনসংযোগ কর্মসূচিতে যাওয়া নিয়ে ভাজপার ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক প্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা।
৭২ নম্বর ওয়ার্ডে পদ্মপুকুরের উত্তম উদ্যানে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে ছোট আলোচনা সভায় মমতা বলেন, নোটবন্দির সময় কী হয়েছিল, আপনারা দেখেছেন। আমি রোজ বড়বাজার যেতাম, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতাম। গুজরাত হোক, রাজস্থান হোক, ইউপি হোক বা বাংলা হোক- সকলের আলাদা সংস্কৃতি আছে। আমি মুড়িও খাই, হালুয়াও খাই। আমি রাজস্থানে গেলে যেমন আজমেঢ় শরিফে যাব। তেমনই পুস্করেও যাই। নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছিল। ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলছে। এটা আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি। অন্য কিছু কেন হবে? আমি আমার দেশ, মাতৃভূমিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আপনারা শান্তিতে থাকুন। আপনারা ভালো থাকুন। এই হিন্দুস্তান আরও উন্নতি করবে। আমার লড়াই জারি থাকবে। এই মাটি হিন্দুস্তানের। এই মাটি রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, নজরুলের। এটাই আমাদের দেশ। আগে দেশ। পরে আমি। বাংলাই হিন্দুস্তানকে রক্ষা করবে। হিন্দুস্তান কখনও পাকিস্তান অথবা তালিবান হবে না। বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মমতা বলেন, সব জায়গায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলায় দেখুন সব চলছে। ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন উপলক্ষে ছোট ছোট জনসংযোগ কর্মসূচির পাশাপাশি আজ ভবানীপুরের লক্ষীনারায়ন মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন তিনি। আরতি করে বেরিয়ে নিজে হাতে প্রসাদ বিতরণ করেন সকলকে। এর পরেই নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকে গোটা দেশে ভাজপা যে উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করার পাশাপাশি ভোট এলেই হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করে সাম্প্রদায়িক প্রচার করার চেষ্টা করছে, তার তীব্র বিরোধিতা করে মমতা বলেন, বিজেপি নেতারা হঠাৎ হঠাৎ করে কাউকে কাউকে দেশদ্রোহী খসড়া করে দেয়। কে দেশপ্রেমিক আর কে দেশদ্রোহী সেই সার্টিফিকেট দেওয়ার বিজেপি কে? মনে রাখবেন বাংলায় কোন দিন কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তুলতে পারেনি। এখানে সমস্ত ধর্মের মানুষ পরস্পরের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের মনোভাব নিয়ে বসবাস করে। বাংলাই আগামী দিনে দেশকে রক্ষা করবে। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।

মা ফ্লাইওভার এর ছবি চুরি প্রসঙ্গে ছবি চুরি করার কি দরকার ছিল, চিটিং করার কি দরকার ছিল? ছবি চাইলে আমি পাঠিয়ে দিতাম।ভবানীপুরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মমতা। সে কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, শোভনদা আমাকে ভবানীপুরে জায়গা ছেড়ে দিল। ঘরে ফিরতে পেরে খুশি। ভবানীপুরের জন্যে আমি কে? বিশেষ কেউ নই। আমি সাধারণ মানুষ। আমার সৌভাগ্য যে আমি ভবানীপুর থেকে লড়ছি।

আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে বক্তব্য রাখার জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু ভারতের কোন ভ্যাকসিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় সেই বৈঠকে তিনি উপস্থিত হতে পারবেন না বলে আজ জানিয়ে দিলেন। টিকা নিয়েও বাংলার সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ৮০ শতাংশ এর বেশি টিকাকরণ হয়ে গেছে। কোভ্যাক্সিন যারা নিয়েছে তারা কেউ বাইরে যেতে পারছে না। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি যাচ্ছেন যান, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।কিন্তু আমাকেও রোমে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো, আমি যেতে পারছি না। কোভ্যাকসিনকে ইওরোপে মান্যতা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here