Last Updated on September 22, 2021 11:17 PM by Khabar365Din
• একটা কথা মনে রাখবেন, ঝড় হোক বৃষ্টি হোক, ভোট দিতে যাবেন। অনেকে ভাবছেন দিদি এমনিই জিতে যাবে। কিন্তু প্রতিটা ভোট আমার কাছে দামি। দয়া করে এটা করবেন না। আপনার একটা ভোট না পেলে আমার ক্ষতি হয়ে যাবে। আপনার একটা ভোট না পেলে কিন্তু আমাকে আর পাবেন না। সেই জন্য আপনাদের একটা ভোট আমার খুব দরকার। আমাদের তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য আমি যদি জিততে না পারি তাহলে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবে। আমি কিন্তু হতে পারব না। এটা আমি আপনাদের কাছে বলে গেলাম এই জন্য যে আপনাদের ভোটটা কেন প্রয়োজন।
• আমাকে জেতাতে আপনাদের ভোট দিতেই হবে। আর আমি মুখ্যমন্ত্রী না হলে বিজেপির বিরুদ্ধে কে আন্দোলন করবে? কে এনআরসি, সিএএ নিয়ে লড়বে? তাই আমাকে ভোট দিন। ফের মুখ্যমন্ত্রী করুন। আপনাদের একটা ভোটও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ্টি পড়লে ভাববেন না যে, আমি জিতে গেছি বলে ভোট দিতে যাওয়ার দরকার নেই। তাহলে কিন্তু ভুল হবে।
• নন্দীগ্রামে লড়াই করতে গিয়েছিলাম। আদালতে মামলা চলছে। কীভাবে হারানো হয়েছে তা আপনারা জানেন। ওরা কি না করেছে! বিজেপি কী চক্রান্ত করেছিল, শুনলে ভয় লাগবে। দেড় মাসেরও বেশি আমাকে হুইলচেয়ারে ঘুরতে হয়েছে। পায়ে চোট পেয়েছিলাম, ভাগ্য ভালো মারা যাইনি।
• ২০১১ সালে উপনির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। ২০১৬ সালেও এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম। এটা ভাগ্যের খেলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হবেন। আল্লাহ মেহেরবান, মা দুর্গা, কালী ঠাকুরের ইচ্ছা এটা। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
• এই ভবানীপুরের নির্বাচন আমাদের পথ দেখাবে। এখানে জিতে আমরা প্রার্থী দেব ত্রিপুরা-সহ বিভিন্ন জায়গায়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় লড়ব। বিজেপিকে দেশছাড়া করব। আমরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় লড়ব। প্রয়োজনে ত্রিপুরায় খেলা হবে। ভোটের ময়দানে লড়াই হবে, বিজেপিকে হারাব। আমরা খেলব, জিতব, বিজেপিকে দেশ থেকে তাড়াব।
• আমাদের দল ত্রিপুরায় মিটিং করতে গেলে ঢুকতে দেওয়া হয় না। যারা যায় প্রত্যেকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আর অভিষেকরা যাতে মিটিং করতে না পারে তার জন্য নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা। তাহলে জিজ্ঞেস করুন দুর্গাপুজো তো ১২ অক্টোবর। দুর্গাপুজো কি ১৪৪ ধারার মধ্যে হবে? মা দুর্গা কি আসবেন না? মা দুর্গার পুজোয় ১৪৪ ধারা জারি করে তুমি বলো এরা পুজো করতে দেয় না। লক্ষ্মী পুজো করতে দেয় না। এতটাই মিথ্যেবাদী আর জুমলা বিজেপি।
• অভিষেক ত্রিপুরায় গিয়েছিল, থানা থেকে বেরোতেই দেয়নি। এটাই ওদের সংস্কৃতি। বিজেপি শাসনে কারও কথা বলার অধিকার নেই। কেউ মুখ খুললেই তাঁকে জেলে ভরে দেওয়া হয়। ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতারা গেলেই মারধর করা হচ্ছে। কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল যাচ্ছে জানতে পারলেই ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে।
• পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ভবানীপুরে এসেছেন প্রচার করতে। তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, গ্যাসের দাম কমাবেন? নাকি পেট্রোলের দাম কমাবেন? নাকি ডিজেলের দাম কমাবেন?
• আপনাদের এক একটা ভোট আগামিদিনে দিল্লির পথে পা বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনাদের ভোট দাঙ্গাবাজদের রুখে দিতে সাহায্য করবে। এখানে গাছ পুঁতলে দিল্লিতে গিয়ে গাছ বড় হবে। এখানে গাছের চারাটা পুঁতে দিন। তোমরা যদি মনে করো তোমরা বুনো ওল, তা হলে আমরা কিন্তু বাঘা তেঁতুল।
• সেন্সাস আর এনপিআর আলাদা। কিন্তু সেন্সাস এর নাম এনপিআর করার চেষ্টা করেছে। আমি বেঁচে থাকতে হলে করতে দেবো না। এনআরসি, সিএএ, এনপিআর নিয়ে লড়বে কে? নোটবন্দির বিরুদ্ধে লড়বে কে? বিজেপির দাঙ্গার বিরুদ্ধে লড়বে কে? উন্নয়নের জন্য লড়বে কে?
• আমি মোদী-শাহকে দাদা-ভাই বলতে পারি। এটা সৌজন্য। কিন্তু তাই বলে দেশে তালিবানি শাসন মেনে নেব না। দেশে সকলে থাকবে। দেশকে টুকরো করতে দেব না। রাজ্যকেও টুকরো করতে দেব না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভাজন আসতে দেব না।
• বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। চারটে জায়গায় আমাদের উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। আমরাই জিতব। বিজেপি কোথাও জিততে পারবে না।
• ৩০ বছর লড়াই করেছি সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে। যেদিন থেকে নরেন্দ্র মোদীরা এসেছেন সেদিন থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। দানবিক পার্টি।
• ভোটের আগে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছে বিজেপির দিল্লির নেতারা। বাংলার মা-বোনেরা যোগ্য জবাব দিয়েছে বিজেপিকে। আমরা যা বলি, তাই করি।
• ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে মোদির ছবি। বলছেন ভ্যাকসিন নিলে মোদির ছবিই থাকবে। তাহলে কোভিডের ডেথ সার্টিফিকেটে মোদির ছবি থাকবে না কেন?