Last Updated on October 27, 2021 11:18 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। জয়দীপ সরকার। কার্শিয়াং। গিদ্দা পাহাড়ের বুকে এক্কেবারে ভিন্ন মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুবছর পর পাহাড়ি দূর্গম রাস্তায় টানা ১০ কিমি পায়ে হেঁটে কার্শিয়াংয়ের পাহাড়বাসীর কাছে পৌছলেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝপথে পাহাড়ের দোকানির কাছ থেকে কিনেও ফেললেন জুতো, নাড়াচাড়া করে দেখলেন পোশমের শাল, চাঁদর। উত্তরবঙ্গ সফরের চতুর্থদিনে বুধবার ১০.৪০নাগাদ কার্শিয়াঙ সার্কিট হাউজ থেকে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেখান থেকে গিদ্দা পাহাড় ধরে হেঁটে কাশিয়াঙ বাজার হয়ে মহানদী। এই মহানদী এলাকাতেই ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। যদিও বর্তমানে ধস সরিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন মহানদী ধস সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় পাহারবাসীরদের সঙ্গে এক কথায় সকালের আড্ডায় মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়বাসীর হাল- হকিকতের খোঁজখবর নেন। পদ্মাঝোড়া ব্রিজের কাছে স্থানীয় একটি চা দোকানে জীর্ণকায় একটি চেয়ার পেতে বসে গরম চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে গান ধরতে বলেন।
সেখানে পাহাড়ি লোকেদের সঙ্গে মিশে ইন্দ্রনীল সেন গান ধরেন, হাতের তাল দিয়ে মেতে ওঠেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। চা খেতে খেতে পাহাড়িভূমিতে শীতের আমেজে স্থানীয়দের নিয়ে গানে গল্পে একেবারে ভিন্ন মেজাজে জনসংযোগে মেতে উঠতে দেখা যায় এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন পাহাড়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের প্রাতঃভ্রমনের সফর ঘিরে নিরাপত্তায় দায়িত্বে ছিলেন উত্তরবঙ্গের আইজি ডিপি সিং, জেলাশাসক এস পুণ্নম বল্লাম। এদিন টানা পায়ে ১০কিমি পাহাড়ি পথে কার্শিয়াঙ বাজার থেকে মহানদী এন এইচ৫৫ পর্যন্ত একাধিক বাজারের দোকানি, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। কেমন আছেন? সরাসরি পাহাড়বাসিকে জিজ্ঞাসা মুখ্যমন্ত্রী মমতার। এক পাহাড়ি মহিলা দোকানির দোকানে গিয়ে বাচ্চাদের একজোড়া জুতো ও এক জোড়া হাওয়াই চটি কেনেন মুখ্যমন্ত্রী। খুশিতে আপ্লুত দোকানির মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী এসে দুজোড়া জুতো ৫০০টাকা দিয়ে কিনেছেন। একজোড়া বাচ্চাদের জুতো কিনেছেন একজোড়া হাওয়াই চটি।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের এত ছোট জায়গায় এসেছেন তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি তাতে। এতদূর থেকে এসে আমার ছোট্ট দোকানে জুতো কিনেছেন এতে খুব ভালো লাগছে জানান তিনি। স্থানীয় আরও একটি দোকানে পোশমের শাল, চাঁদর দেখে পছন্দও করেন। মঙ্গলবারের বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী খানিক মনখারাপের সুরেই বলেছিলেন কার্শিয়াং বাজারটা আমার দেখা হয়নি।