Last Updated on August 24, 2023 8:05 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বামপন্থী ছাত্রদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। পুলিশ প্রশাসন এবং মিডিয়া – যাদেরকে দীর্ঘকাল ধরে বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কৃত করে ক্যাম্পাসকে বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে ফিরিয়ে দিতে হবে। নবাগত ছাত্রছাত্রীদের বিবস্ত্র করার পাশাপাশি নিজেদের বিবস্ত্র হওয়ার অধিকার হয়ে উঠছে ফের তীব্র আন্দোলনে নামলো যাদবপুরের মার্কসবাদী ছাত্র ইউনিয়নগুলি। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রকে র্যাগিং করে হত্যা করার আগে তাকেও বিবস্ত্র করে অত্যাচার করেছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। এমনকি ইতিমধ্যেই অবস্থান বিক্ষোভে পর্যন্ত বসে পড়েছে তারা। পাশাপাশি প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী হলেও তাদেরকে হোস্টেলে থাকার অধিকার দিতে হবে বলেও দাবি তুলেছে আর্টস ফ্যাকাল্টির বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নগুলি।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলার শুনানিতে বারে বারে তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যদি পড়াশোনার বাইরের অন্য বিষয় নিয়ে বারে বারে খবরের শিরোনামে উঠে আসে তাহলে প্রয়োজনে হোস্টেল বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণের পরেও বিন্দুমাত্র দমে না গিয়ে হোক কলরব, হোক চুম্বন এবং হোক নগ্নতা অভিযানের স্টাইলে নতুন করে এমন কোন আন্দোলনের পরিকল্পনা শুরু করেছে যাদবপুরের আইশা এবং এসএফআইয়ের মতো বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মার্কসবাদী ছাত্র সংগঠনগুলি হোক চুম্বন আন্দোলন নাম দিয়ে চুম্বন করার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের নবাগতা ছাত্রীদের জোর করে চুম্বন করার দাবি তুলে দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। এই সংগঠন গুলি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে ভারতীয় সংস্কৃতি মুক্ত করে আধুনিকতার নামে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র হয়ে ঘোরার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করে আন্দোলনে নেমেছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরে যেভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ ও প্রশাসন এর পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যম ঢুকে গিয়েছে তাতে মাও-মাকুদের মুক্তাঞ্চল জনসমক্ষে চলে এসেছে।
শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাসের ভিতরে এবং হোস্টেলে বিবস্ত্র করার পাশাপাশি বিবস্ত্র হওয়ার অধিকার ফেরত চেয়ে যেভাবেই হোক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর তীব্র বিরোধিতা করে ক্যাম্পাসে কেন তাদের উপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে তার প্রতিবাদে আজ মিছিল পর্যন্ত করে ফেলেছে এই ইউনিয়নগুলি। তাদের দাবি হোস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসের ভিতরে পুলিশ এবং মিডিয়া যেভাবে ঢুকে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার ফলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সার্বিকভাবে ক্যাম্পাস জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। রীতিমতো লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে তাদের দাবি যাদবপুরের ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এবং এত বছর ধরে যে মুক্তাঞ্চল ছিল অবাধ বিচরণভূমি তা ফিরিয়ে দিতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।