Last Updated on October 31, 2023 6:07 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। প্যারিস। ভারতীয় সময় রাত ২.১০ প্যারিসের থিয়েটারে ঝলমলে ও অভিজাত ডু শ্যাটেলেটের মঞ্চে ডেভিড বেকহ্যাম যখন অষ্টম বারের জন্য বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করছেন, সাদা শার্টের ওপর কালো কোট এবং কালো বো টাইয়ে মেসির হাত ধরে তাঁর তিন ছেলে ও স্ত্রী। উত্তেজনাহীন,ধীর পায়ে তিনি মঞ্চে এলেন, গোটা অডিটরিয়ামে তখন লিও লিও ধ্বনি। মাথা নিচু করে,একটাই শব্দ.. ধন্যবাদ। এই পুরস্কার আমার মেন্টর দিয়েগো মারাদোনাকে উৎসর্গ করছি। ক্লাব থেকে পুরস্কারের জন্য প্রাপ্ত অর্থ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধে অনাথ শিশুদের জন্য দিতে চাই। ততক্ষণে গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে তাঁর ইতিহাস রচনার গল্প। গভীর রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মেসি নিয়ে পোস্টে জ্যাম হয়ে গিয়েছে। গুগল বিশেষ সার্ভার লাগিয়েছে এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুক ক্রাশ হওয়া আটকাতে। প্রত্যাশিত ছিল,তবুও উন্মাদনা কোনও নিয়ম মানে না। ততক্ষণে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছেন তিনি। ৭ বার ব্যালন ডি’অর জিতে এর আগেই ইতিহাস তৈরি করেছিলেন লিওনেল মেসি। এবার নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে নয়া ইতিহাস তৈরি করলেন তিনি। অষ্টমবারের জন্য ব্যালন জিতে সবকিছুর উর্ধ্বে চলে গেলেন তিনি।
২০০৮ সাল থেকে ২০১৩, ,এই পনেরো বছরে মেসি আর রোনাল্ডো রাজত্ব করেছেন ফুটবল বিশ্বে। মেসি ২০০৯,২০১০,২০১১,২০১২,
২০১০,২০২১,এবং ২০১৫ মোট সাতবার বিশ্ব ফুটবলের সেরা পুরস্কার পেয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডো এই সেরার পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার।
প্রথাগত নিয়ম ভেঙে এবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণা করা হবে মরসুমের পারফর্মেন্স ভিত্তিতে। ব্যালনের প্রায় ৭ দশকের ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো মরসুমের বিবেচনায় আনা হচ্ছে। আগে বাৎসরিক পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণা করা হতো।
থাকবে অন্যান্য সব পুরস্কারের ঘোষণা। নারী বর্ষসেরা ফুটবলার, নারী ও পুরুষ বিভাগে সেরা কোচ, তরুণ খেলোয়াড়দের কেপা ট্রফি এবং গোলরক্ষকদের জন্য লেভ ইয়াসিন ট্রফি। এছাড়া সেরা স্ট্রাইকার এবং মাঠের বাইরের অবদানের জন্য সক্রেটিস ট্রফি। এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সময়কে।
ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে এমনভাবে কথা বললেন, যেন এটা তাঁর কাছে খুবই তুচ্ছ। বললেন, এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। যদি পুরস্কারটা পেলাম, ভালো। আর যদি না পেতাম, কিছুই এসে যায় না।ব্যালন ডি’অর অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটা পুরস্কার। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটা সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার। কিন্তু আমি কখনোই এটাকে অতটা গুরুত্ব দিইনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল জাতীয় দলের সাফল্য।আমি ভাগ্যবান যে ক্যারিয়ারে সবকিছু জিতেছি। আমার ক্যারিয়ারে যে অপূর্ণতা ছিল, সেই বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর আমি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নিয়ে কমই ভাবছি। আমার সেরা পুরস্কার ছিল বিশ্বকাপ জয়, আর এখন আমি মুহূর্তগুলোই বে বাকি জীবনটা উপভোগ করতে চাই।